পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এবার আরও একটি নতুন প্রবণতা কিন্তু লক্ষ করা গিয়েছে, সন্ধ্যার পর থেকে পর্ষদের কন্ট্রোল রুমে যেসব অভিযোগ এসেছে তার অধিকাংশই ডিজে বা সাউন্ডবক্স সংক্রান্ত। পর্ষদের এক অফিসারের দেওয়া তথ্য বলছে, রাত পর্যন্ত আসা ৮৫টি অভিযোগের মধ্যে ৪০টিই ছিল লাউডস্পিকার বিষয়ক। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হল, মেডিক্যাল কলেজের মতো হাসপাতালগুলিও এর থেকে রেহাই পায়নি।
তাহলে সমাধান কী? যা দেখা যাচ্ছে তাতে প্রতিবারই পুলিস এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ নিয়ম করে সাংবাদিক সম্মেলন করবে, নিয়ম না-ভাঙলে কড়া শাস্তির নিদান দেবে, অথচ বেপরোয়া ওই প্রবণতা একইভাবে চলতে থাকবে। আসলে বরাবরই বিভিন্ন মহল থেকে একটা কথা বলা হয়ে থাকে, নিষিদ্ধ শব্দবাজি যদি মানুষের হাতে পৌঁছনোটা আটকানো যায়, একমাত্র তাতেই এই বিপজ্জনক খেলায় রাশ টানা সম্ভব। তার জন্য হোমওয়ার্ক শুরু করা উচিত অনেক আগে থেকেই। প্রথমেই দরকার উৎসস্থল চিহ্নিত করা। অর্থাৎ যেসব জায়গায় বাজি তৈরি হচ্ছে এবং যে যে পথ দিয়ে নিষিদ্ধ শব্দবাজির আমদানি হচ্ছে, সেই জায়গাগুলিকে কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা। এখানেও হয়তো দেখা যাবে সরষের মধ্যে ভূত। কারণ, সাধারণ মানুষেরই অভিযোগ, পুলিসের একাংশের যোগসাজশ ছাড়া নিষিদ্ধ বাজির কারবার বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাওয়া কারও পক্ষে সম্ভব নয়। তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে, পুলিস সেই কাজটা অত্যন্ত দায়িত্ব নিয়ে এবং সতর্কভাবে কেন অনেক আগে থেকে করছে না? বাজারে এত নিষিদ্ধ শব্দবাজি ঢুকছে কীভাবে? যে সংখ্যক মানুষ বাজি ফাটিয়ে আইন ভাঙছে, তার থেকে যারা এই নিষিদ্ধ কারবারে জড়িত, সেই সংখ্যাটা নিশ্চয় অনেক কম। তাহলে সেই উৎসমূলে কেন আঘাত হানা হচ্ছে না?
তাই সব মিলিয়ে যা পরিস্থিতি, তাতে সচেতনতা গড়ে তোলাটা তো অবশ্যই জরুরি। কিন্তু তারচেয়েও বেশি প্রয়োজন বছরভর বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা তৈরি করে উৎসমূলে জোরদার তল্লাশি চালানো এবং বাজারে নিষিদ্ধ শব্দবাজির জোগানই বন্ধ করে দেওয়া।