কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
অস্বীকার করার উপায় নেই ভারতে দারিদ্র্য আছে। বহু মানুষ আছে যারা দু’বেলা দু’মুঠো খেতে পর্যন্ত পায় না। নোবেলজয়ী এই মানুষটি ছোটবেলায় সেই দারিদ্র্যক্লিষ্ট বস্তিবাসীর জীবনযাপন একেবারে কাছ থেকে দেখেছেন। দক্ষিণ কলকাতায় মহানির্বাণ রোডের বাড়িতে থাকার সুবাদে। তাঁর বাড়ির পাশেই ছিল একটা বস্তি। ধনী দরিদ্রের ফারাকটা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছেন। এরপর গবেষণার মাধ্যমে বুঝেছেন দরিদ্র মানুষের আসল সমস্যাগুলি ঠিক কী কী। সমস্যাগুলি যদি ঠিকঠাক বোঝা যায় তাহলে দাওয়াই দেওয়ার কাজটাও সহজ হয়। তাই দারিদ্রদূরীকরণে কোন পদ্ধতিটা বেশি কার্যকর হবে তারও সন্ধান করেছেন এই নোবেলজয়ী। বলেছেন, অর্থনীতিতে পরিবর্তন আনতে হলে গরিবের হাতে পয়সা দিতে হবে, বড়লোকদের নয়। সেকারণেই হয়তো নরেন্দ্র মোদি সরকারের অর্থনীতির এবং নোট বাতিল, জিএসটি-সহ একাধিক সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচক অভিজিৎবাবুর নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বীকার করতে হল—দারিদ্র্যদূরীকরণে তাঁর অবদানের কথা। তাঁর বর্তমান ঠিকানা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হলেও তিনি যে দেশের কথা, দশের কথা ভাবেন তার প্রমাণ বার বার পাওয়া গিয়েছে। বিশেষত, গত লোকসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধীর স্বপ্নের ‘ন্যায়’ প্রকল্পের অন্যতম পরামর্শদাতা ছিলেন তিনিই। আর এও বোঝা যাচ্ছে, তত্ত্বসর্বস্ব অর্থনীতির আলোচনার পথে হাঁটেননি কখনও। মার্কিন মুলুকে থেকেও তিনি দেশের কথা ভোলেননি। তাঁর গবেষণার ফল প্রয়োগ ও বাস্তবধর্মী। তাঁর গবেষণাকর্ম ভারতীয় অর্থনীতির বেহাল দশা থেকে উত্তরণের দিশা দেখাতে পারে। অভিজিৎবাবুই বলেছেন, বিশ্বদারিদ্র্য কোনও একটিমাত্র সমস্যা নয়। সমস্যা বুঝে তবেই সমাধান সম্ভব। অর্থাৎ রোগ বুঝে সঠিক দাওয়াই প্রয়োগের কথাই তিনি বলেছেন। ভারত কি এবার তাঁর দেখানো পথে দারিদ্র্যদূরীকরণের পথে হাঁটবে?
এটা ঠিক, কোনও ক্ষেত্রেই বাঙালি পিছিয়ে নেই। নবজাগরণের সময় থেকে শুরু করে আজও তা সমানভাবে প্রযোজ্য। অভিজিৎবাবুর নোবেল জয়ে আপামর দেশবাসী, বিশেষত বাঙালির উচ্ছ্বাস থাকাটাই স্বাভাবিক। সোমবার আরও একজন বাঙালি কৃতিত্বের পরিচয় রাখলেন ক্রীড়াজগতে—সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর চিরাচরিত খ্যাতি বজায় রেখে ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনের সর্বোচ্চ মসনদে বসতে চলেছেন বাংলার মহারাজ। সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছনো এই দুই বাঙালির সাফল্যে কুর্নিশ জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। তাঁদের অবদানের জন্য আমাদের তরফেও রইল অভিনন্দন।