বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
এটাই হয়তো ভারতের দুর্ভাগ্য। স্বাধীনতার ৭০ বছর পরও এদেশের যুব প্রজন্মের মগজ ধোলাই করতে পারে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীরা। এদেশে অস্ত্র পাঠালেই হয়, সেনা না পাঠালেও চলে। সেই ছায়াযুদ্ধই নতুন নতুন রূপে চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামাবাদ। যে হাফিজ সইদকে আন্তর্জাতিক চাপে কালো তালিকাভুক্ত, ‘নিষিদ্ধ’ জঙ্গি ঘোষণা করতে পাকিস্তান বাধ্য হয়েছিল, সে কিন্তু বহাল তবিয়তেই রয়েছে। শুধু তাই নয়, জঙ্গিদের রীতিমতো প্রশিক্ষণ দিয়ে চলেছে সন্ত্রাসের এই সুপ্রিমো। এটা কি দ্বিচারিতা নয়? কোন মুখে পাকিস্তান রাষ্ট্রসঙ্ঘে দাবি করে যে, ভারতে মানবাধিকার প্রশ্নের মুখে?
সদ্য প্রকাশিত একটি ভিডিওতে আবার দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের দিক থেকে জঙ্গিরা নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছে। তাদের দেখা মাত্র এদিক থেকে গুলি ছুঁড়ছেন ভারতীয় জওয়ানরা। আর সঙ্গে সঙ্গে তারা দৌড়ে পালাচ্ছে। পাকিস্তানের চরিত্র এটাই। পিছন থেকে ছুরি মারার চেষ্টা করবে। আর ঘুরে দাঁড়িয়ে একটু ফোঁস করলেই লেজ গুটিয়ে পালাবে। ভারত কখনওই প্রথমে আঘাত হানে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কিন্তু রাষ্ট্রসঙ্ঘে ফের এই সার সত্যটা গোটা বিশ্বকে মনে করিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, ভারত বিশ্বকে যুদ্ধ দেয়নি। বুদ্ধকে দিয়েছে। এটাই ভারতের মূলধন। শান্তি ও সততা। তাই বিশ্বের রাজনীতিতে দাদাগিরি চালানো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পর্যন্ত কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়ে ঢোঁক গেলেন। বলতে বাধ্য হন, ভারত না চাইলে তিনি এগবেন না। বরং পাকিস্তানকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দেয় আমেরিকা—চীনে উইঘুর মুসলিমদের উপর নিপীড়ন হলে তখন কেন চুপ থাকে ইসলামাবাদ? মুখ আর মুখোশ দু’রকম হওয়ার বিপদ এটাই। যা ইমরান খানকে ভোগ করতে হচ্ছে। পূর্বপুরুষের লেগাসি... সন্ত্রাসের, মিথ্যার, দ্বিচারিতার।
কাশ্মীর সীমান্ত হোক, কিংবা পাঞ্জাব। পাকিস্তানের যে কোনওরকম প্ররোচনা বা হামলার মোকাবিলায় ভারত প্রস্তুত। ঠান্ডা মাথায় তা এতদিন নয়াদিল্লি সামাল দিয়ে এসেছে। ভবিষ্যতেও আসবে। উরি হামলার প্রতিশোধ ভারত নিয়েছে। পাঠানকোটের। পুলওয়ামারও। এই কারণেই তো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, মোদিই পারেন পাকিস্তানের সন্ত্রাসকে খতম করতে।