হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
যদি কাশ্মীরে শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং উন্নয়নের আলো পৌঁছে যায়, তাহলে কী দিয়ে আর সেখানকার তরুণ প্রজন্মকে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানি দেবে? এই প্রশ্নে সিঁদুরে মেঘ দেখছে বলেই কিন্তু ইসলামাবাদ তড়িঘড়ি ভারতবিরোধী নানা পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। একদিকে দুই দেশের ট্রেন এবং বাস বন্ধ করা, অন্যদিকে পাকিস্তানি সেনা ও ব্যাটকে দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের বিরুদ্ধে নাকিকান্না তো রয়েইছে। তাতেও অবশ্য খুব লাভের লাভ হয়নি। আমেরিকা তো বটেই, আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কোনও প্রথম সারির দেশই সেই অর্থে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ভারত বিরোধিতার দিকে যায়নি। এই পরিস্থিতিতে একটাই উপায় থাকে, যে ছায়াযুদ্ধে পাকিস্তান সিদ্ধহস্ত, সেই চিরাচরিত অভ্যাসে ফিরে যাওয়া। সীমান্ত সন্ত্রাস ইতিমধ্যেই পাকিস্তান বাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের রণতরী নিয়ে আসা হচ্ছে জলসীমান্তে। যুদ্ধবিমানও ভারত সীমান্তের দিকে নিয়ে আসছে পাকিস্তান। নিঃসন্দেহে যুদ্ধের একটা আতঙ্ক তারা সৃষ্টি করতে চাইছে। কোনওদিনই ভারত আগে থেকে হামলায় বিশ্বাসী নয়। ১৯৭১ সালে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী যা করেছিলেন, তা ছিল সর্বতোভাবে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে। তাঁদের নিরাপত্তা, স্বাধীনতার জন্য। কার্গিলও কিন্তু পাকিস্তানই প্রথমে দখল করেছিল। তাদের উৎখাত করতে আসরে নামতে হয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীকে। ভারত কোনওদিনই ভয় পায় না। আর নয়াদিল্লি যথা সময়ে যে ফোঁস করতেও জানে, রাজনাথ সিং সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন। লক্ষ্য এবারও তাই পাকিস্তান। আর ইমরান খানও বিলক্ষণ জানেন, পাকিস্তানকে দুরমুশ করতে ভারতের পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। তাও রাজনাথ সিং হুঁশিয়ারিটা হাওয়ায় ভাসিয়ে দিয়েছেন। বিশ্ব দরবারে একটা বার্তাও পৌঁছে দিয়েছেন তিনি—ভারত আর ভদ্রতা করে হাতে চুড়ি পরে বসে থাকবে না। যেদিন পরিস্থিতি বিগড়ে যাবে, ঠিক সেদিনই চরম পদক্ষেপ। নিঃসন্দেহে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও সবুজ সঙ্কেত রয়েছে। কারণ, পরমাণু অস্ত্রের গোপন কোডটি জানেন তিনিই। আর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটাও তিনিই নেবেন। শরিকদের তোষামোদের দায় কিন্তু তাঁর নেই।