যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
জাতীয় রাজনীতিতে যাইহোক পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও এবারের নির্বাচন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এমনিতে এরাজ্যের সিংহভাগ মানুষ এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতাকেই স্বীকার করেন। কিন্তু এই প্রথম বাংলার ভোটে সামগ্রিকভাবে বাম ও কংগ্রেসকে হটিয়ে গেরুয়া শক্তির উত্থান হতে চলেছে। বিজেপি এরাজ্যে ঠিক ক’টি আসন পাবে সেটি এই লোকসভা নির্বাচনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। একাধিক জেলায় গেরুয়া পার্টি তার শাখাপ্রশাখা বিস্তার করেছে। এবং শাসকদলকে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। আরও বিস্ময়ের ব্যাপার বামেদের ভোটও এই নির্বাচনে এরাজ্যে বিজেপির পকেটে যেতে পারে বলে গত কয়েকমাস ধরে জোর জল্পনা চলছে। এসবই কথারই কথা নাকি সত্যি পশ্চিমবঙ্গের ভোট মানচিত্রে একটা বড়সড় বদল এসে গিয়েছে তা জানা যাবে ২৩ মে মধ্যাহ্নে। যদি জেলায় জেলায় যে গেরুয়া পার্টির যে ‘আন্ডার কারেন্ট’ দেখা গিয়েছে তা ভোটবাক্সে প্রতিফলিত হয় তাহলে আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নতুন করে রাজনৈতিক কৌশল শানিয়ে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে হবে। আর যদি বিজেপির এই বাড়বাড়ন্ত ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয় তাহলে নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর দলবলের বাংলা দখলের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। বাংলার মানুষ কোনদিকে তা জানার জন্য আর এক সপ্তাহ অপেক্ষা।
তবে ভোটের ফল যাই হোক, আগামী রবিবারের শেষ দফার নির্বাচন যেন এরাজ্যে নতুন করে হিংসা ও রক্তক্ষয় ডেকে না আনে সেটাই একান্ত কামনা। আগের ছ’দফা নির্বাচনে কিন্তু বিভিন্ন জেলা থেকে হাঙ্গামা, সংঘর্ষ এমনকী প্রাণহানির খবরও মিলেছে। যা বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে ঠিক মেলে না। ভোটের প্রচারপর্বে অমিত শাহের রোড শো কেন্দ্র করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিদ্যাসাগর কলেজে যে তাণ্ডব হয়েছে তার নিন্দার ভাষা নেই। মনীষী বিদ্যাসাগরের মূর্তিকেও গুণ্ডারা ছাড়েনি। বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহকদের এই অবমাননার জবাব রাজ্যের মানুষ শেষ দফার ভোটে সুদে আসলে মিটিয়ে দেবে। দুষ্কৃতীদের রাজনীতিতে কোনও স্থান নেই। বাংলাকে যাঁরা বোঝেন না, বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে যাঁদের যোগ নেই তাঁরা বাংলায় ভোট চান কোন সাহসে? এবারের নির্বাচন এ রাজ্যের প্রকৃত বন্ধুকে খুঁজে নেওয়ারই অগ্নিপরীক্ষা।