উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
বা আরডি, মান্থলি ইনকাম স্কিম বা এমআইএস এবং টার্ম ডিপোজিট বা টিডি’র মতো স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে অনেক ক্ষেত্রেই মেয়াদ শেষের আগে
হয় এজন্টেরা সেই টাকা তুলে নিচ্ছেন অথবা তা কোনও ভুয়ো এসবি অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাচ্ছে।
এমনিতেই দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে গত কয়েক বছর টালমাটাল চলছে। সংখ্যাতত্ত্বের হিসেব দিয়ে সরকারপক্ষ যা-ই দাবি করুক না কেন, সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা বলছে, কোটি কোটি নাগরিক ভালো নেই। ‘আচ্ছে দিন’-এর স্বপ্ন দেখিয়ে ক্ষমতায় আসা দলের সরকার প্রায় কোনও প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করতে পারেনি। বছরে দু’কোটি নতুন চাকরির দেখা তো নেই-ই, উল্টে আচমকা নোট বাতিল আর অপরিণত জিএসটি-র ধাক্কায় লক্ষ লক্ষ মানুষ রাতারাতি কাজ খুইয়ে বেকার হয়েছেন। একটি বেসরকারি সমীক্ষায় প্রকাশ, গত বছর দেশে বেকারত্বের মাত্রা আগের ৪৫ বছরের সমস্ত রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের আমলেই কমপক্ষে চার কোটি চাকরির সুযোগ নষ্ট হয়েছে। ঘরে ঘরে বেকার বেকার বেড়েছে। অন্যদিকে, জ্বালানি তেল থেকে শুরু করে প্রায় সমস্তরকম নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে চড়েছে। বহু সাধ্যসাধনা করেও অসংগঠিত ক্ষেত্রে ন্যূনতম পেনশনের অঙ্ক বাড়ানো যায়নি। বারে বারে আশা জাগিয়েও তা নিরাশায় পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয়, পেনশন পাওয়া এবং নামমাত্র পেনশন পাওয়া অথবা এসবের আওতায় আসতে না-পারা লক্ষ লক্ষ প্রবীণের সপরিবার ভরসা আগের জমানো টাকার সুদ। সুদের টাকাতেই তাঁদের খাওয়া পরা, সামাজিকতা এবং অপরিহার্য চিকিৎসার খরচ চলে। কিন্তু, সেই সুদের টাকাতেও চলতি সরকার একের পর এক নির্মম কোপ মেরেছে। এই আমলে স্বল্প সঞ্চয়ে সুদ কমেছে দফায় দফায়। সুদ কমেছে সাধারণ আমানতেও। ফলে, একদিকে জীবন চালাতে খরচ ঊর্ধমুখী হলেও আয় ক্রমশ নিম্নমুখী। পরের দিনটি কীভাবে চলবে সেই চিন্তায় অনেকেই রাতে ঠিকমতো ঘুমতে পারেন না। কোনোরকমে পার করে দিতে চান দিনগুলি। ভরসা ওই স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে গচ্ছিত শেষ সম্বল। আমানত। এবং, সিংহভাগ প্রবীণই এব্যাপারে ব্যাঙ্কের তুলনায় পোস্ট অফিসের উপরই বেশি আস্থা রাখেন। কিন্তু, সেখানেও যদি প্রতারকরা হানা দেয়, অসহায় মানুষগুলি যাবেন কোথায়?
কয়েক বছর আগেও এরকম উদ্বেগজনক পরিস্থিতি ছিল না। পোস্ট অফিসে জমানো গ্রাহকের টাকা অন্য কেউ তুলে নিচ্ছে—এমন ঘটনার খবর সচরাচর শোনা যেত না। তাহলে এখন বিষয়টি এমন উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছল কেন?