বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
ঘটনার সূত্রপাত স্থানীয় রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের শিলান্যাসকে কেন্দ্র করে। সন্ত কবীর নগরের জেলা সমন্বয় কমিটির বৈঠকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের প্রসঙ্গটি ওঠে। বৈঠকে অন্যান্য জনপ্রতিনিধি, আমলা এবং পুলিস অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন। হাজির ছিলেন সাংবাদিকরাও। কয়েক দিন আগেই ওই এলাকায় একটি প্রকল্পের শিলান্যাস হয়। জানা গিয়েছে, সেই শিলান্যাসের ফলকে বিধায়ক রাকেশ বাঘেলের নাম থাকলেও এমপি রাকেশ ত্রিপাঠির নাম রাখা হয়নি। আর সেই কারণেই বেজায় চটেছিলেন বিজেপির এমপি। বৈঠকে তিনি সরাসরি বিধায়ককে প্রশ্ন করেন, কেন ভিত্তিপ্রস্তরে তাঁর নাম রাখা হয়নি? উত্তরে বিধায়ক বলেন, শিলান্যাসে কার নাম থাকবে আর কার থাকবে না, তা ঠিক করার সম্পূর্ণ অধিকার তাঁর আছে। এমপি রাকেশ ত্রিপাঠি নাকি চিৎকার করে বলেন, ওই ফলকে তাঁর নাম ঢোকাতে হবে। বিধায়কও স্পষ্ট জানান, বদল করা অসম্ভব। এই শুনেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন সংসদ সদস্য। অভিযোগ, ভরা সভাতেই জুতো খুলে পেটাতে শুরু করেন বিধায়ককে। তারপর তিনিও চেয়ার ছেড়ে উঠে পাল্টা হাত চালান বলে অভিযোগ। এই হাতাহাতির সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজও চলছিল সমান তালে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, তাঁদের থামাতে এগিয়ে আসতে হয় পুলিস কর্তাদের।
এই ঘটনার পরপরই নিন্দার ঝড় ওঠে। শেষ পর্যন্ত অস্বস্তি কাটাতে আসরে নামতে হয় দলকে। উত্তরপ্রদেশ বিজেপির সূত্রে জানা গিয়েছে, দলও ঘটনাটি বরদাস্ত করবে না। দু’জনের বিরুদ্ধেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। এখানেই পুরো কাহিনীর যবনিকা পড়েনি। বিধায়ক রাকেশ সিং বাঘেলের অনুগামীরা এমপিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে স্থানীয় থানা ঘেরাও করেন। তাঁকে বরখাস্ত করার দাবিও উঠেছে।
সুতরাং, দেখা যাচ্ছে যে, বর্তমানে দেশের থেকে যেন রাজনীতি বড়। আর রাজনৈতিক দলের থেকেও ব্যক্তি বড়। এই আত্মঅহমিকার জন্যই এখন সাধারণ মানুষের চোখে রাজনীতি বিষয়টাই ঘৃণার বস্তু হয়ে গিয়েছে। যা কাম্য ছিল না। মজবুত গণতান্ত্রিক কাঠামোয় সর্বদলীয় অংশীদারিত্বের চেয়েও অবশ্যম্ভাবী হল দেশাত্মবোধ, জাতীয়তাবোধ। ব্যক্তির চেয়ে যে দেশ বড়, এই বোধটাই গড়ে তোলা জরুরি রাজনীতি করার সর্বাগ্রে। কিন্তু, এখন সেই জায়গা নিয়েছে আত্মম্ভরিতা, আত্মসুখ, আত্মকেন্দ্রিকতা। তারা হয়তো মনে করে দেশ চুলোয় যাক।