নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সঞ্চয় কমছে। ঋণ বাড়ছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এই তথ্য জানিয়েছে একাধিকবার। কেন সঞ্চয় কমছে? কারণ নগদ অর্থ হাতে থাকা কমে গিয়েছে। অন্যতম কারণ দুটি। মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারত্ব। আর এই যে আমজনতার হাতে নগদ অর্থের জোগান অথবা উদ্বৃত্ত টাকা না থাকা, তার প্রমাণ দিচ্ছে ভোগ্যপণ্য বাজারও। বিভিন্ন আর্থিক ও বাণিজ্য সমীক্ষক সংস্থার রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে চলতি আর্থিক বছরের প্রথম তিন মাসে স্মার্ট ফোন বিক্রির বৃদ্ধির হার তলানিতে। এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত সময়সীমায় ভারতে স্মার্ট ফোন বিক্রির বৃদ্ধির হার মাত্র ১ শতাংশ। যা ঠিক আগের ত্রৈমাসিকে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়সীমায় ছিল কমবেশি ১০ শতাংশ। আবার ২০২৩ সালের শেষ তিন মাসে ছিল ১৫ শতাংশের আশপাশে। সুতরাং লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রতি ত্রৈমাসিকেই স্মার্টফোন বিক্রি পূর্বতন বছরের তুলনায় কমছে। কাউন্টার পয়েন্ট সমীক্ষায় বলা হয়েছে, গত আর্থিক বছর থেকে যে প্রবণতা চালু হয়েছে সেটা এখন তুঙ্গে উঠেছে। সেটা হল, পুরনো তথা ব্যবহার করা (সেকেন্ড হ্যান্ড) ফোন ক্রয়। বর্তমানে মোবাইল ফোন আর বিলাসিতা নয়। প্রয়োজনীয়। কারণ আধার নম্বর থেকে আয়কর প্রদান অথবা যে কোনও সরকারি পরিষেবা পেতে হলেও ওটিপি দরকার। আর তাই মোবাইল আবশ্যক।
সাধারণত দেখা যায় স্মার্ট ফোনের বাণিজ্যে সবথেকে বেশি বিক্রি হয় ১২ থেকে ১৭ হাজারের মধ্যে দাম থাকা হ্যান্ডসেট। বর্তমান বছরের এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত সময়সীমায় ওই বিভাগেই বিক্রি সবথেকে কমে গিয়েছে। আবার অন্যদিকে, বেড়েছে এন্ট্রি লেভেলের বিক্রি। অর্থাৎ ৭৫০ টাকা থেকে যে বেসিক ফোনের দাম শুরু হয়।
ক্যানালিস সংস্থার সমীক্ষায় বলা হয়েছে, উৎপাদন, স্টক এবং বিক্রির মধ্যে ফারাক বেড়ে যাচ্ছে। প্রচুর স্টক থেকে যাচ্ছে। বিক্রির নিরিখে ২০২৩ সালে চীনের একটি সংস্থার মোবাইল ছিল দ্বিতীয় স্থানে। বিগত তিন মাসে ভারতে যে দুই সংস্থার মোবাইল সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে, তা দু’জনেই চীনের। বস্তুত ভারতে সর্বাধিক বিক্রি হওয়া মোবাইল হ্যান্ডসেটের প্রধান চারটি সংস্থার তিনটিই চীনের। একটি দক্ষিণ কোরিয়ার। একের পর এক সমীক্ষায় স্মার্ট ফোন বিক্রির হার কমে যাওয়ার রিপোর্ট যথেষ্ট উদ্বেগজনক বার্তা।