গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বিগত অর্থবর্ষে রাজ্যের মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ‘ক্রেডিট লেন্ডিং’ অর্থাৎ ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ এক লক্ষ কোটি টাকার গণ্ডি পেরিয়েছে। যাঁরা এই ঋণ পেয়েছেন, তাঁরা অধিকাংশই ছড়িয়ে রয়েছেন জেলাগুলিতে। এই অঙ্কের অর্থও সেখানেই বিনিয়োগ হবে এবং সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান। তাই ব্যবসার সুযোগ বাড়াতে এঁদেরও জায়গা করে দেওয়া হল বাণিজ্য সম্মেলনে। গত ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু হয়েছিল রাজ্যজুড়ে সিনার্জি। এই সিনার্জি ও আরও কিছু মাপকাঠির উপর ভিত্তি করে চিহ্নিত করা হয়েছে এই ব্যবসায়ীদের। কোচবিহার থেকে শুরু করে উত্তর ২৪ পরগনা, প্রত্যেকটি জেলা থেকেই ব্যবসায়ীরা অংশ নেবেন বাণিজ্য সম্মেলনে। সেখানে শিল্প নিয়ে রাজ্যের ‘ভিশন প্ল্যান’ তুলে ধরবেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলার ব্যবসায়ীরা যাতে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা শুনতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। এই ব্যবসায়ীরা সরাসরি কথা বলতে পারবেন দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও। এতে তাঁদের ব্যবসার সম্প্রসারণে সুবিধা হবে। এই বিষয়ে রাজ্যের এক আধিকারিক জানান, ষষ্ঠ বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে এই প্রথম সংগঠিতভাবে এত সংখ্যক ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের জায়গা করে দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে শেষবেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে শনিবার দু’দফায় বৈঠক করেন তিনি। দেশ-বিদেশের প্রতিনিধি ও বিনিয়োগকারীদের আসা ও থাকার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বাণিজ্য সম্মেলনের প্রতিটি বিষয় খতিয়ে দেখেন মুখ্যসচিব। তিনি নিজে পরিদর্শন করেন বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টার। বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে পুলিসি ব্যবস্থা কী রাখা হচ্ছে, তাই নিয়েও পর্যালোচনা করেন মুখ্যসচিব।
গত সোমবার বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্বমানের প্রদর্শনী কেন্দ্র হিসাবে উঠে আসে এই প্রাঙ্গণ। এখন তপসিয়া মোড় থেকে বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত রাস্তার ধারের সৌন্দর্যায়ণের কাজ করা হচ্ছে। সেই কাজও সময় মতো শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি শিল্পের জন্য সাত থেকে আটটি মউও স্বাক্ষরিত হবে বাণিজ্য সম্মেলনে। এই মুহূর্তে দেউচা পাচামি কোল ব্লকে দ্রুত কাজ শুরু করাই হচ্ছে রাজ্যের প্রধান লক্ষ্য। অতএব রাজ্যের এই প্রকল্প নিয়েও একটি প্রদর্শনী হবে বাণিজ্য সম্মেলনে। পোল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া থেকেও প্রতিনিধিদের আসার কথা বাণিজ্য সম্মেলনে। খনি সংক্রান্ত কাজে এগিয়ে থাকা এই দু’টি দেশের প্রতিনিধিদের কাছে দেউচা পাচামি নিয়ে প্রদর্শনী বিশেষ আকর্ষণের হবে বলেই মনে করছে নবান্ন। এছাড়া আসছেন ইতালি, কোরিয়া ও জাপানের প্রতিনিধিরা। তাঁদের আসায় লাভবান হবে রাজ্যের চর্ম ও ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প।