বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
চটকল শ্রমিকদের নিয়ে তৈরি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির পক্ষে আহ্বায়ক হিসেবে সিটুর রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু এদিন জানান, গত ৭ তারিখ চটশিল্পের সমস্যা নিয়ে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্নার কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছিল। সেই আলোচনায় মন্ত্রী কাঁচাপাটের সমস্যাজনিত চটশিল্পের বর্তমান সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। আমরা সেই মতো প্রধানমন্ত্রী ও বস্ত্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। চিঠি দিয়েছি মুখ্যমন্ত্রীকেও। রাজ্যের বেশ কয়েকটি চটকল ইতিমধ্যে বন্ধ হয়েছে। প্রায় এক লক্ষ শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি এমন চলতে থাকলে অচিরেই গোটা চটশিল্প মুখ থুবড়ে পড়বে। এখন দুই সরকার যদি দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না করে, তাহলে কোভিড পরিস্থিতিতেই আমরা শ্রমিক ও চাষিদের নিয়ে কলকাতায় বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হব।
অনাদিবাবু বলেন, আমরা খোঁজ করে জেনেছি যে এবার পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। চাষিরা প্রথমে বেশি দামের জন্য কিছুদিন উৎপাদিত পাট ধরে রাখলেও পরে তা বিক্রি করে দেন ফড়েদের কাছে। এই ফড়েদের একাংশই বর্তমানে বেআইনিভাবে পাট মজুত করে রেখেছে। মজুতদারির বিরুদ্ধে পুলিসের মাঝে-মধ্যে লোকদেখানো অভিযান চলছে। জুট কমিশনারের অফিসও সক্রিয় মনোভাব নিচ্ছে না জট ছাড়ানোর জন্য। চটকল মালিকরা চাইছেন, জুট কমিশনারের জারি করা পাটের সর্বোচ্চ দাম ৬৫০০ টাকার নির্দেশ প্রত্যাহার করা হোক। আমরা সে ব্যাপারে কিছু বলছি না। আমরা চাইছি, জুট কর্পোরেশন সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে পাট কিনে তা ন্যায্য মূল্যে চটকলগুলিকে সরবরাহ করুক। তাহলে ফড়ে বা মজুতদারদের কোনও ভূমিকাই আর থাকবে না।