কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পশ্চিমবঙ্গে যেহেতু সুতো উৎপাদিত হয় না, তাই সুতোর দামের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা কঠিন। এদিন সেই সমস্যার কথা স্বীকার করে চন্দ্রনাথবাবু বলেন, সুতোর দামের হেরফের হওয়ার কারণে সমস্যায় পড়ছেন পোশাক বা তাঁত শিল্পীরা। তাই সরকার নিজের উদ্যোগে রাজ্যে ছ’টি সুতো ব্যাঙ্ক তৈরি করছে। সেখান থেকেই বস্ত্রশিল্প সংস্থাগুলি সরাসরি সুতো কিনতে পারবে। যে সংস্থাগুলি কাপড় তৈরি করবে, তাদের সুতোর জোগান দেবে রাজ্য সরকারি সংস্থা তন্তুজ। সেই পোশাক তৈরি হলে, তন্তুজই তা কিনে নেবে। এই ব্যাপারে চারটি পক্ষের মধ্যে চুক্তি হবে। তারা হল শিল্প সংস্থা, তন্তুজ, টেক্সটাইল ডিরেক্টরেট এবং ব্যাঙ্ক। যারা সরকারের সঙ্গে পোশাক ‘বাই-ব্যাক’ চুক্তিতে আসবে, তাদের ব্যাঙ্ক ঋণ দেবে। আবার পাওয়ারলুম তৈরির জন্য যে মূলধনী খরচ হবে, তার ২০ শতাংশ ইনসেন্টিভ হিসেবে দেবে রাজ্য সরকার।
স্কুল পোশাক তৈরির ক্ষেত্রে রাজ্যকে স্বয়ং সম্পূর্ণ করতে চায় রাজ্য। তার জন্য একাধিক ইন্টিগ্রেটেড টেক্সটাইল পার্ক তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চন্দ্রনাথ সিনহা। তিনি বলেন, একদিকে সেই পার্ক গড়তে সরকার যেমন বিদ্যুৎ ও রাস্তা সহ নানা পরিকাঠামো গড়ছে। অন্যদিকে, তৈরি হচ্ছে পাওয়ারলুম কো-অপারেটিভ এবং রেডিমেড গার্মেন্টস কো-অপারেটিভ। স্কুল ইউনিফর্মের কাপড় তৈরির জন্য তন্তুজ ইতিমধ্যেই ৪০টি সংস্থর সঙ্গে চুক্তি করেছে বলে জানিয়েছেন চন্দ্রনাথবাবু। আগামী দিনে তাঁরা আরও বেশকিছু সংস্থার সঙ্গে এই চুক্তি করতে চান।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে রাজ্যে ক্ষুদ্রশিল্পে সাফল্য এসেছে বলে এদিন দাবি করেন চন্দ্রনাথবাবু।
তিনি বলেন, বাংলায় এখন ৮৯ লক্ষ ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প রয়েছে, যা সারা দেশের ১৪ শতাংশ দখলে রেখেছে। মহিলা দ্বারা পরিচালিত ক্ষুদ্রশিল্পের সংখ্যা ২৯ লক্ষের
বেশি। এত বেশি সংখ্যক মহিলা উদ্যোগপতি দেশের আর কোথাও নেই। দাবি করেছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ থেকে পরপর তিনবছর এরাজ্যে ক্ষুদ্র ও ছোট শিল্পে ২ লক্ষ ১৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছে।