বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রশ্ন: আপনার তো বাঙালিদের সঙ্গে মেলামেশা। স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?
উত্তর: শুধু আমি নয়। আমার পরিবার এই বাংলায় গত ২০০ বছর ধরে আছে। তাই বাংলা আমার হৃদয়ে। আজ আমি যা, বাঙালিয়ানা তারই অংশ।
প্রশ্ন: এমন কোনও নস্টালজিয়া আছে, যার সঙ্গে কলকাতার যোগ নিবিড়?
উত্তর: কলকাতা নিজেই ভীষণ মানবিক। কলকাতার এমন একটা ব্যাপার আছে, যা মানুষকে শান্তি দেয়, আরাম দেয়। ভারতের অন্য মেট্রো শহর থেকে এই শহর আলাদা এই গুণের জন্যই। আসলে কলকাতাকে ঘিরে আমি অনেক বেশি নস্টালজিক, তাই বিশেষ একটিকে বেছে নেওয়া কঠিন। তবে একটা বিষয় খুব মনে পড়ে, তা হল ফুটবল। আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন আমার বাবা রমাপ্রসাদ গোয়েঙ্কার সঙ্গে নিয়মিত মাঠে যেতাম ফুটবল খেলা দেখতে। মোহনবাগানের খেলা দেখতেই যেতাম আমরা। সেই মুহূর্তগুলি এখনও বিদ্যুতের মতো ঝলসে ওঠে। সেকি উন্মাদনা! এখনও সেই দিনগুলি একই রকম স্পষ্ট, জীবন্ত। বাংলায় ফুটবলের কী ঐতিহ্য! কী পরম্পরা! ভীষণ মনে পড়ে সেসব সোনালি দিনগুলি। সেই মোহনবাগান এখন আমাদের পরিবারের অংশ। এটা আমাকে অত্যন্ত আনন্দ দেয়, গর্বিত করে। তাই আমাদের দায়বদ্ধতাও প্রচুর।
প্রশ্ন: এই শহরে ব্যবসার ক্ষেত্রে পুরনো দিনের সঙ্গে এখনকার কোনও ফারাক চোখে পড়ে?
উত্তর: ব্যবসার পরিবেশ বদলে গিয়েছে। গত ১০ বছরে তা আরও ভালো কিছুর দিকে এগিয়েছে। প্রশাসনিক স্তরে গোটা প্রক্রিয়াটিই এখন স্বচ্ছ। কোথাও ঢিলেমি দেওয়া হয় না।
প্রশ্ন: কলকাতায় কাজের পরিবেশ বদলেছে?
উত্তর: অবশ্যই। কলকাতায় অত্যন্ত দক্ষ ও প্রতিভাবান ছেলেমেয়েরা রয়েছে। এক সময় ভালো কাজের সন্ধানে সেই মেধা মুম্বই বা দিল্লি পাড়ি দিত। তারাই এখন কলকাতায় ফিরতে চাইছে। মেধাবীদের কাজে লাগানোর জন্য যা যা দরকার, কলকাতা তার জন্য জমি তৈরি করেছে।
প্রশ্ন: সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কোনও পরিবর্তন চোখে পড়ে?
উত্তর: সর্বস্তরেই পরিবর্তন হয়েছে। আমি দেখি এখানকার শিল্পী, সাহিত্যিক, সঙ্গীত শিল্পীদের। তাঁরা নিজেদের আরও উন্নত করছেন। বিশ্বের দরবারে তাঁরা স্বীকৃতি আদায় করে নিচ্ছেন।
প্রশ্ন: শহরের সঙ্গে জড়িত কোনও বিষয়, যা আরও সামনে আসতে পারত?
উত্তর: এই শহরে পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের জন্য অনেক কিছু করা হয়। বিশেষত তাদের পড়াশোনার জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। এটা দারুণ কাজ। মেয়েদের জন্য যে উদ্যোগগুলি নেওয়া হয়েছে, তাও যথেষ্ট প্রশংসার।
প্রশ্ন: গত ১০ বছরে কলকাতার চেহারায় বদল এসেছে। আপনার মত কী?
উত্তর: কলকাতার রূপটানকে আমি উপর থেকে দেখি না, ভিতর থেকে অনুভব করি। শুধু সৌন্দর্যায়ন নয়, পরিকাঠামোর দিক থেকে কলকাতা যেভাবে এগিয়ে গিয়েছে, তা আশার আলোই দেখাচ্ছে। কলকাতা এখন অনেক ভালো শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
প্রশ্ন: আর কী করলে শহর আরও সুন্দর হবে, আপনার সাজেশন কী?
উত্তর: আমি মনে করি, কলকাতা প্রতিদিনই একটু একটু করে আরও সুন্দর হচ্ছে। নাগরিক হিসেবে আমাদেরই দেখা উচিত, এই শহরকে আমরা আরও কীভাবে ভালো রাখতে পারি। এবিষয়ে আমাদের প্রত্যেকের দায়বদ্ধ থাকা উচিত।