পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
করোনা সংক্রমণের পর থেকে ক্রমশ চড়েছে সোনার দর। কলকাতায় ১০ গ্রাম পাকা সোনার দর পৌঁছেছিল ৫৭ হাজার টাকায়। এখন সেই দাম কমে ৫০ হাজার টাকায় এসেছে। কিন্তু তাতে কাজের কাজ খুব একটা হয়নি, বলছেন স্বর্ণশিল্পীরা। কারণ ব্যবসা এখনও চাঙ্গা হয়নি। গত বছর গয়নার ব্যবসা যে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা স্বীকার করেছে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলও। তাদের হিসেব বলছে, গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এদেশে গয়নার জন্য সোনা বিক্রি হয়েছে প্রায় ৩১৬ টন। ভারতীয় মুদ্রায় তার দাম ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ২৬০ কোটি টাকা। পরিমাণের নিরিখে ৪২ শতাংশ মার খেয়েছে সোনার গয়নার বাজার। গয়না শিল্পের সঙ্গে এ রাজ্যের বহু মানুষের রুটিরুজি জড়িত। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, বহু মানুষ সোনার কাজ ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন। বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগরচন্দ্র পোদ্দার বলেন, জেলায় যে হাজার হাজার দোকান আছে, সেখানে বিক্রিবাটা প্রায় নেই বললেই চলে। এমনকী লগনসাতেও বিয়ের কেনাকাটা তেমন জুতসই নয়। সাধারণ দোকানিদের মূলধনও ফুরিয়ে আসছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে কাঁচামাল কিনতে পারছেন না অনেকেই। পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ, তা জেলায় গেলেই বোঝা যাবে। টগরবাবুদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার এই শিল্পী ও দোকানদারদের জন্য এমন কোনও আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করুক, যাতে বাজার চাঙ্গা হয়। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন লাগাতারভাবে তাঁরা সোনার উপর আমদানি শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়ে আসছেন। এখন তা ১২.৫ শতাংশ। তা কমিয়ে দু’ শতাংশে নামানো হলে সোনার দামে কিছুটা লাগাম পড়বে। অনেক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, এই চড়া শুল্ক প্রায় কোনও দেশেই নেই। কর ফাঁকি দিয়ে কালো পথে যে সোনা বাজারে আসছে, তার দরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পেরে ওঠা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকে।
বাংলার স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি এই একই দাবি জানিয়েছে রপ্তানিকারী সংস্থাগুলির সর্বভারতীয় সংগঠন জেম অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিল। তারা বলছে, গয়না রপ্তানির ক্ষেত্রে বর্তমানে ভারত বিশ্বে পঞ্চম স্থান দখল করে রয়েছে। গত দু’-তিন বছর ধরে বার্ষিক প্রায় চার হাজার কোটি মার্কিন ডলার আয় হয়েছে। কিন্তু এখন বিশ্বে যে মন্দা চলছে, তার প্রভাব পড়ছে রপ্তানিতে। এই পরিস্থিতিতে যেমন সোনার আমদানি শুল্ক কমানোর দাবি রয়েছে, তেমনই হীরের উপর আমদানি শুল্ক ৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২.৫ শতাংশ করার দাবি তুলেছে তারা।