কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বাজার থেকে মাছের আঁশ সামান্য পয়সায় কিনতে হয় তাঁকে। এরপর ভালোভাবে জল দিয়ে ধুয়ে দু’দিন রোদে শুকিয়ে সেগুলি বস্তাবন্দি করা হয়। এরপর তা চলে যায় উত্তর ২৪ পরগনায় মহাজনের গোডাউনে। সেখান থেকে ভিনদেশে পাড়ি দেয় মাছের আঁশ। ব্যবসায়ীদের থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, মাছের আঁশ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, জৈব সার, গুঁড়ো পাউডার ছাড়াও বিভিন্ন রকম সৌখিন দ্রব্যও তৈরি হয়।
৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় আঁশ। তবে করোনা আবহে দাম কমে কেজিতে ২০ টাকা হয়েছে। ধীরে ধীরে দাম আগের জায়গায় যাবে আশাবাদী দিলীপ। তিনি বললেন, প্রায় ১০ বছর এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। এই ব্যবসায় আমার কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তবে বাজার থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করতে সমস্যা হয়। সাধারণত রোজকার বাজারে যে মাছ বিক্রি হয়, তার আকৃতি ছোট। তাই আমাদের বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য কাটা বড় মাছ থেকে আঁশ সংগ্রহ করতে হয়। বেশ কয়েকজন আমার কাছে কাজ করেন। তাঁরা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আঁশ সংগ্রহের কাজ করেন। বর্ষাকালে আঁশ সংগ্রহ ও শুকনো করতে সমস্যা হয়। আমার কাছ থেকেই মাল নিয়ে বনগাঁর এক মহাজনও বিদেশে আঁশ রপ্তানি করেন। জ্যৈষ্ঠ মাসের পর থেকে আঁশ সংগ্রহ শুরু হয়। ভারতে লকডাউন শুরু হবার আগেই অন্যান্য দেশে লকডাউন হয়েছিল। তাই তখন থেকেই বন্ধ ছিল আঁশ রপ্তানির ব্যবসা। আবার বাজারে নতুন করে চাহিদা তৈরি হওয়ায় খুশি এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সকলে। কাজে ব্যস্ত দিলীপ। -নিজস্ব চিত্র