রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
মোবাইল থেকে ফোন করার পর বারবার তা কেটে যাওয়াকে বলা হয় কল ড্রপ। ফোন করলে ১০০ শতাংশ কল সফল হবে, এমন কথা নেই। কারণ যান্ত্রিক ত্রুটি বা সীমবদ্ধতা থাকতে পারে। ট্রাই বলছে, প্রতি ১০০টি কলে সর্বাধিক দু’টি কল ড্রপ হওয়া স্বাভাবিক। তার উপর যদি কল ড্রপ হয়, তাহলে তাকে পরিষেবার খামতি হিসেবে ধরা হবে। কিন্তু ট্রাইয়ের রিপোর্ট বলছে, বিএসএনএলের বেঙ্গল সার্কেলে কল ড্রপের হার ৮.৫৭ শতাংশ। পরিষেবার ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গকে দু’টি সার্কেলে ভাগ করা হয়। একটি বেঙ্গল, অপরটি কলকাতা। ট্রাইয়ের রিপোর্ট বলছে, বাদবাকি সবক’টি মোবাইল পরিষেবা সংস্থারই কল ড্রপের হার এই দু’টি সার্কেলেই দুই বা তার নীচে। যদি কোনও ব্যক্তি ভ্রাম্যমাণ অবস্থায় ফোনে কথা বলেন, তাহলে কল ড্রপের হার সর্বাধিক তিন শতাংশ থাকা স্বাভাবিক, বলছে ট্রাই। এদিকে তাদের রিপোর্ট বলছে, এখানেও কাঠগড়ায় একা বিএসএনএলের কলকাতা সার্কেল। তাদের কল ড্রপের হার ১০.৭১ শতাংশ।
আসা যাক, ফোন কল প্রসঙ্গে। কোনও গ্রাহক যদি অপর কোনও গ্রাহককে মোবাইলে ফোন করেন, তাহলে সর্বাধিক দুই শতাংশ ফোন ‘জেনারেট’ নাও করতে পারে। অর্থাৎ ফোন করলেই সঙ্গে সঙ্গে অপর প্রান্তের লাইন পাওয়া যাবে, তা হয় না। কিন্তু রিপোর্ট বলছে, এই ধরনের কোনও সমস্যাই নেই এরাজ্যের দু’টি সার্কেলে। অর্থাৎ ফোন করলে, সঙ্গে সঙ্গে অপর প্রান্তের ফোনে ‘রিং’ হতে শুরু করে।
এ তো গেল ফোনে কথা বলার ক্ষেত্রে সমস্যার কথা। ট্রাইয়ের হিসেব মতো যদি কোনও ব্যক্তি তাঁর ফোনের বিল সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ করেন, তাহলে সর্বাধিক ছ’সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে সুরাহা দিতে হবে। না হলে সেটি পরিষেবার খামতি হিসেবে ধরা হবে। ট্রাইয়ের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে এই বিষয়ে কোনও খামতি নেই। অর্থাৎ সব গ্রাহক ছ’সপ্তাহের মধ্যে সুরাহা পেয়েছেন। যদি কোনও গ্রাহক কোনও সমস্যার কথা জানাতে বা কোনও তথ্য জানতে কোনও সংস্থার কল সেন্টারে ফোন করেন, তাহলে হিসেব মতো ৯০ সেকেণ্ডের মধ্যে অপারেটর সেই ফোন ধরবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, অপারেটর ফোন ধরার বদলে আগে থেকে রেকর্ড করা নানা তথ্য শোনানো হয় গ্রাহককে, যার হয়তো কোনও দরকার নেই। ট্রাইয়ের বক্তব্য, অন্তত ৯৫ শতাংশ ফোন কল ৯০ সেকেণ্ডের মধ্যে ধরবেন অপারেটর। কিন্তু এই পরিষেবা সঠিকভাবে দিতে পারেনি একাধিক টেলিকম সংস্থা, বলছে রিপোর্ট। গোটা রাজ্যজুড়ে, অর্থাৎ দু’টি সার্কেলেই এই বিষয়ে পাশ করতে পারেনি জিও, এয়ারটেল এবং ভিআই। বিএসএনএল অবশ্য এতে উতরে গিয়েছে, বলছে ট্রাই।