উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
কতটা বেড়েছে গাড়ির বাজার? শুরু করা যাক স্কুটার বা বাইকের মতো দু’চাকা দিয়েই। ফেডারেশন অব অটোমোবাইল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের হিসেব অনুযায়ী, পূর্ণ লকডাউনের মধ্যে, অর্থাৎ মে মাসে বিক্রি হয়েছিল মাত্র ৮৪৪টি। জুন থেকে ধাপে ধাপে বাড়ে রাজ্যের গাড়ির ব্যবসা। ওই মাসে এক লাফে ৩৩ হাজার ৬১৬টি দু’চাকা বিক্রি হয়। আর আগস্টে সংখ্যাটা ছিল ৬৫ হাজার ৭১১। এক মাসের ব্যবধানে, সেপ্টেম্বরে তা হয় ১ লক্ষ ৩ হাজার ৬৪৮। যা ছাপিয়ে গিয়েছে গত বছরের হিসেবকেও। কারণ, ২০১৯-এর সেপ্টেম্বরে রাজ্যে দু’চাকার গাড়ি বিক্রি হয়েছিল ৯২ হাজার ৪১৪টি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, তখন করোনা সংক্রমণ ছিল না। মানুষের হাতে নগদের অভাবও জাঁকিয়ে বসেনি। তা
সত্ত্বেও গত বছর সেপ্টেম্বরের তুলনায় এবার বিক্রি বেড়েছে ১২.১৬ শতাংশ। ডিলারদের একাংশ বলছে, লকডাউনের জন্য ঝিমিয়ে পড়া ব্যবসা আবার চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।
দু’চাকা গাড়ির পাশাপাশি বেড়েছে যাত্রীবাহী গাড়ির বিক্রিও। সেপ্টেম্বরে রাজ্যে প্রাইভেট কার বিক্রি হয়েছে ৯ হাজার ৯৭২টি। যা আগস্টের তুলনায় ৩ হাজার ৪২১টি বেশি। এখানেই শেষ নয়, গত বছর সেপ্টেম্বরের পরিসংখ্যান বলছে, বিক্রির সংখ্যাটা তখন ছিল ৮ হাজার ৫৭১টি। যা আশার আলো দেখাচ্ছে। আর উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শোরুম থেকে সরাসরি কত গাড়ি বিক্রি হচ্ছে, তার ভিত্তিতেই এই পরিসংখ্যান। তাই ডিলাররা বলছেন, বাস্তব ছবিটা এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট হয়। তাঁদের বক্তব্য, পুজোর ইতিবাচক প্রভাব ইতিমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে। ব্যবসা বাড়ছে চলতি মাসে। অক্টোবর শেষের হিসেবই তার প্রমাণ দেবে। আর একটা কারণও যে আছে। গাড়ি বা দু’চাকা আজ আর বিলাসিতা নয়। কোভিড ছোঁয়াচ বাঁচাতে ‘প্রয়োজনীয়’ তালিকায় জায়গা হয়ে গিয়েছে এদের।