গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সম্প্রতি সালকিয়ার এই বিস্তীর্ণ এলাকায় ঘুরে দেখা মিলল এমন একাধিক কারখানার মালিক ও শ্রমিকদের। মদন বিশ্বাস লেনে একটি কারখানার মালিক সানি জয়সওয়াল ব্যস্ত ছিলেন কাপড় ইস্ত্রি করার কাজে। তাঁর ঘরেপড়ে রয়েছে শ’য়ে শ’য়ে কাপড়ের রোল। সেখানে আগে আটজন কর্মী ছিলেন। এখন তিনজনকে নিয়েই কাজ সামলাচ্ছেন সানি। তাঁর কথায়, লোকাল ট্রেন যতদিন না চালু হচ্ছে, ততদিন আমাদের ব্যবসায় গতি আসবে না। অন্যান্য বছর জুলাই মাস থেকেই কাজের পরিমাণ বেড়ে যেত। এবার সেপ্টেম্বরের শুরুতে কিছু বরাত পাওয়ায় কোনওরকমে কারখানা চলছে। শিবগোপাল ব্যানার্জি লেনের সমীর গুপ্তাদের ছোট্ট জায়গায় হোসিয়ারি দ্রব্য তৈরির কারখানা। তিনি বললেন, লকডাউনে রুটিরুজি প্রায় বন্ধ হতে বসেছে। ‘পার্টি’ বরাত দিলে সেই মতো আমরা মালপত্র বানিয়ে দিই। জুন থেকে টুকটাক কাজ শুরু হলেও অন্যান্যবার পুজোর সময় যেমন কাজের চাপ থাকে, এবার তেমন নেই। অর্ডার কোথায়? শুধু লোকাল ট্রেন নয়, মঙ্গলাহাট দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় তার প্রভাবও পড়েছে। সালকিয়ার এক বস্ত্র ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ হালদারের কথায়, মঙ্গলাহাট আবার চালু হচ্ছে, এবার হয়তো পরিস্থিতি কিছুটা বদলাবে। আসলে অনেকেরই মালপত্র কেনার মতো মূলধন নেই। লকডাউনের দিনগুলিতে উপার্জন না থাকলেও খরচ হয়েছে সমানে। অনেক কারখানার শ্রমিকরা বাড়ি চলে গিয়েছেন। আদৌ তাঁরা আর ফিরবেন কি না, জানা নেই। ফলে অনিশ্চয়তা ঘিরে ধরেছে বস্ত্রশিল্পের এই জায়গাকে। এই বিষয়ে হাওড়া চেম্বার অব কমার্সের অন্যতম কর্তা শঙ্কর সান্যাল বলেন, সালকিয়ায় হোসিয়ারি শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১০ হাজারেরও বেশি পরিবার জড়িত। প্রত্যেকেই অবস্থাই এখন খারাপ। লোকাল ট্রেন এবং হাট চালু না হওয়া পর্যন্ত এই পরিস্থিতি বদলাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। -নিজস্ব চিত্র