নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ব্যবসা-বান্ধব বঙ্গ। ব্যবসার অনুকূল পরিবেশের নিরিখে পূর্ব ভারতে শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ। শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের ঘোষণায় এই তথ্য সামনে এল। ব্যবসার ইতিবাচক পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য কেন্দ্রের তরফে মিলল স্বীকৃতি। স্বাভাবিকভাবে তাতে সন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের এই সাফল্যে তিনি উচ্ছ্বসিত। ঘনিষ্ঠ মহলে তাঁর খুশি গোপন করেননি মুখ্যমন্ত্রী। ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ বা ব্যবসার অনুকূল পরিবেশের নিরিখে ২০১৯ সালের র্যাঙ্কিং প্রকাশ করল শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রক। শনিবার কেন্দ্রের প্রকাশিত এই তালিকাতে পূর্ব ভারতের মধ্যে সেরার শিপোরা পেল পশ্চিমবঙ্গ। আর সামগ্রিকভাবে দেশের মধ্যে মিলেছে নবম স্থান। শীর্ষে অন্ধ্রপ্রদেশ। এবারও দেশের পয়লা নম্বর স্থানটি ধরে রাখল দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে উত্তরপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা। গতবারের দ্বিতীয় স্থান থেকে একধাপ নেমেছে তেলেঙ্গানা। কিন্তু উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে যোগীর রাজ্য। ১২ নম্বর স্থান থেকে তারা উঠে এসেছে দু’নম্বরে। তালিকার আঞ্চলিক বিন্যাসের ক্ষেত্রে দক্ষিণ ভারতের মধ্যে শীর্ষে অন্ধ্রপ্রদেশ। উত্তর ভারতে উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিম ভারত থেকে মধ্যপ্রদেশ ও পূর্ব ভারতের সেরা পশ্চিমবঙ্গ। উত্তর-পূর্ব ভারতে শীর্ষ স্থান দখল করেছে অসম। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। গুজরাত এই তালিকায় রয়েছে ১০ নম্বরে। আর মহারাষ্ট্র ১৩ নম্বরে।
ব্যবসার অনুকূল পরিবেশের নিরিখে তৈরি এই তালিকা প্রকাশের অনুষ্ঠানে এদিন উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। দিল্লিতে তালিকা প্রকাশের পর গোয়েল বলেন, ব্যবসার সংস্কার সংক্রান্ত অ্যাকশন প্ল্যান কার্যকর করার নিরিখে তৈরি হয়েছে র্যাঙ্কিং। সিঙ্গল উইন্ডো ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্যবসা সংক্রান্ত আইনগুলিকে সহজ সরল করে তোলার লক্ষ্যে সব প্রচেষ্টা করছে কেন্দ্র। এজন্য বিবাদ সংক্রান্ত আইন ও শ্রম আইনে সংস্কার করা হচ্ছে। গোয়েল আরও বলেন, কোভিড-১৯ পৃথিবীর সব দেশেই প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারত গড়ার ডাকে ভর করে আমাদের দেশ আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। বিশ্ব-মঞ্চে আরও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে ভারত। ভারতের সংস্কারের সুফল ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মিলতে শুরু করেছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ র্যাঙ্কিংয়ে ২০১৪ সালে ভারত ১৪২তম স্থানে ছিল। ২০১৯ সালে ৬৩তম স্থানে উঠে এসেছে।