কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
নিজের সংস্থা চালানোর পাশাপাশি তামিলনাড়ুর তিরুপরি এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনেরও প্রধান সন্মুগম। পোড় খাওয়া এই ব্যবসায়ী বলেন, সাধারণত ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় নতুন মরশুম। বিদেশি ব্র্যান্ডগুলি বুঝতে পারছে, শুধুমাত্র চীনের উপর নির্ভর করে থাকলে আর চলবে না। বিকল্পের সন্ধানে নেমেছে তারা। লকডাউন পেরিয়ে নতুন করে কাজ শুরু হয়েছে কিছুদিন আগেই। এই অবস্থায় সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা শুধু চাইছি, ৬ মাসের মোরাটোরিয়ামের মেয়াদ আরও বাড়ানো হোক। আমার ব্যক্তিগত মত, চলতি মরশুমে ২৫ শতাংশ অর্ডার বাড়বে।
প্রায় একই সুর শোনা গেল পি নটরাজের গলাতেও। নামজাদা পোশাক রপ্তানিকারী সংস্থা কেপিআর মিলসের এমডি তিনি। দেশের অন্যতম বড় সুতো রপ্তানিকারী সংস্থাও হল এই কেপিআর মিলস। নটরাজ বলেন, আমাদের বিদেশি ক্রেতারা বলছেন, এবছর ভারত থেকে আগের থেকে বেশি পণ্য আমদানি করা হবে। অর্ডারের প্রকৃত পরিমাণ কত, সপ্তাহ দু’য়েকের মধ্যেই তা আমরা জেনে যাব। লকডাউনের পর সবেমাত্র কাজকর্ম সচল হয়েছে আমাদের।
পশ্চিম তামিলনাড়ুর এসপি অ্যাপারেলসের কাছেও বড় অর্ডার এসেছে। তাদের বরাত দিতে চাইছে একদা বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিশু পোশাকের ব্র্যান্ড কার্টার’স। এই সংস্থাটিও চীন থেকে ভারতে তাদের অর্ডার সরিয়ে আনতে চাইছে। এজন্য কার্টার’স চাইছে, নতুন ধরনের এক ফেব্রিক তৈরির কাজ শুরু করুক এসপি অ্যাপারেলস। প্রকৃতিক ফাইবার নয়, এজন্য দরকার মানব-সৃষ্ট ফাইবার। সংস্থার এমডি পি সুন্দররাজন বলেন, নতুন ধরনের এই ফেব্রিক তৈরির জন্য কার্টার’স আমাদের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে। সফল হলে আমাদের কাছে তা বিশাল সুযোগ এনে দেবে। বণিকসভা অ্যাপারেল এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলও এই সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ। সংগঠনের চেয়ারম্যান এ শক্তিভেল বলেন, আমরা প্রাকৃতিক ফাইবার উৎপাদনে সিদ্ধহস্ত। কিন্তু মানব-সৃষ্ট কৃত্রিম ফাইবার তৈরির এই সুযোগ আমরা হাতছাড়া করতে চাই না।