পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
একাধিক বাধা-বিপত্তিতে একসময় ক্ষীণ হয়ে এসেছিল কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জের কাজকর্ম। তারপর নতুন করে সংস্কার শুরু হয় দেশের অন্যতম প্রচীন এই শেয়ারবাজারে। শুরু হয় এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে শেয়ার কেনাবেচা। ২০১৩ সাল পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু এরপর বেঁকে বসে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (সেবি)। তাদের অভিযোগ ছিল, এখানে ‘ক্লিয়ারিং’ সংক্রান্ত নিয়ম মেনে লেনদেন হচ্ছে না। তাই নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে শেয়ার লেনদেনের ক্ষমতা হারায় সিএসই। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালেও ফয়সালা এখনও হয়নি। তবে, কর্পোরেট আইনের একটি নির্দিষ্ট ধারাকে কাজে লাগিয়ে এখান থেকে বিএসই ও এনএসই’র আওতায় থাকা শেয়ার কেনাবেচার অনুমতি মেলে। নগদে শেয়ার ক্রয় বা ক্যাশ মার্কেট এবং ভবিষ্যতের বাজারদর অনুমান করে এখনই শেয়ারের দাম দেওয়ার মতো ফিউচার অপশনের ক্ষেত্রেও লেনদেন করতে পারেন সাধারণ মানুষ। তবে গোটা দেশে যেখানে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়, সেই তুলনায় সিএসই’র অবদান যৎসামান্য। কারণ, রাজ্যের শেয়ার কারবারিরা সরাসরি বিএসই বা এনএসই’র মতো জাতীয় স্তরের শেয়ারবাজারগুলিতে কেনাবেচা করেন।
কিন্তু কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে যে গুটিকয় লেনদেন হচ্ছে, তা এখানকার বাজার চাঙ্গা থাকার অন্যতম লক্ষণ। এমনটাই দাবি বাজার বিশেষজ্ঞদের। গত জানুয়ারি মাসে এখানে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে প্রায় ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকারও বেশি লেনদেন হয়েছিল। মার্চ মাসে তা নেমে আসে প্রায় অর্ধেকে। কিন্তু এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে বাড়তে থাকে কেনাবেচার অঙ্ক। গত জুলাই পর্যন্ত পাওয়া হিসেব বলছে, ফের ৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছেছে লেনদেন।
করোনার দাপটে গোটা বিশ্বেই ঝিমিয়ে শেয়ারবাজার। ভারতও তার বাইরে নয়। এই মুহূর্তে পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হলেও অনিশ্চয়তার আশঙ্কা যে একেবারেই নেই, তা নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এরই মধ্যে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বেশ কিছু সংস্থার শেয়ার। আবার জনপ্রিয়তা নেই এমন অন্তত ২৫০টি সংস্থার শেয়ার পিছু দর ২৫ টাকার নীচে ছিল। কিন্তু গত এপ্রিল থেকে সেগুলির দর ১০০ শতাংশ থেকে ১,৬০০ শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ বাজারের চরম অস্থিরতার মাঝেও ওই শেয়ারগুলিতে যাঁরা লগ্নি করেছেন, তাঁরা বিচক্ষণতার মূল্য পেয়েছেন দু’হাত ভরে। আর এই সব লেনদেন হয়েছে কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে। ফলে লাভবান হয়েছেন এখানকার লগ্নিকারীরা। হাজারো দুঃশ্চিন্তার মাঝে এটুকু আশার আলোই বা কম কি!