পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কতটা বেড়েছে বিক্রি? শুরু করা যাক স্কুটার বা বাইকের মতো দু’চাকার গাড়ি দিয়েই। ফেডারেশন অব অটোমোবাইল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের হিসেব অনুযায়ী, মে মাসে লকডাউনের মধ্যে মাত্র ৮৪৪টি স্কুটার ও বাইক বিক্রি হয়েছিল। জুন মাসে যখন ধাপে ধাপে সচল হতে থাকে জনজীবন, প্রাণ পায় এরাজ্যের গাড়ির ব্যবসাও। এক লাফে ৩৩ হাজার ৬১৬টি দু’চাকা গাড়ি বিক্রি হয়। জুলাইতে পরিস্থিতি আরও ভালো হয়েছে। বাইক ও স্কুটার বিক্রির অঙ্কটা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে পৌঁছে যায় ৬৬ হাজার ৩৩৩-এ। ডিলারদের একাংশ বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে দু’চাকার গাড়ির বাজার বরাবরই ভালো। উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলির সঙ্গে পাল্লা দেয় এখানকার ব্যবসা। আনলক পর্ব শুরু হলেও, পরিবহণ ব্যবস্থা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। লোকাল ট্রেন না চলায়, বহু মানুষ ব্যক্তিগত পরিবহণের উপর নির্ভর করছেন। তাই বিক্রিও বেড়েছে। তবে গাড়ি বিক্রির এই ছবিও চাহিদার তুলনায় যথাযথ নয়। ডিলারদের মতে, লকডাউন পর্বে সব ধরনের গাড়ি উৎপাদন বন্ধ ছিল। স্টক কম থাকায় চাহিদার সঙ্গে জোগানের তাল রাখা যাচ্ছে না। কলকাতা শহরে তো বটেই, জেলাতেও ডিলারশিপগুলিতে রোজ বহু মানুষ বাইক বা স্কুটারের খোঁজে আসছেন। বেশ ভালো চাহিদা রয়েছে স্কুটিরও। কিন্তু অনেকেই ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে শুধু জোগান না থাকার কারণে। ডেলিভারির জন্য আরও কিছুদিন সময় চেয়ে নিচ্ছেন শোরুমের কর্তারা। যদি চাহিদা অনুযায়ী জোগান দেওয়া গেলে বিক্রির ছবিটা আরও অনেক উজ্জ্বল হতো বলেই মত ডিলারদের।
অন্যদিকে, জুন ও জুলাই মাসে এরাজ্যে যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রির সংখ্যা যথাক্রমে ৪ হাজার ৬৮৭ এবং ৬ হাজার ৬৯৫। যার অধিকাংশই প্রাইভেট কার। এর থেকেই বোঝা যায় পরিস্থিতি ভালোর দিকে, বলছেন শোরুমের মালিকরা। পরিসংখ্যান বলছে, শুধু জুলাই মাসের বিক্রিই গত বছরের এই সময়ের হিসেবকে প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে। কারণ, গত বছর জুলাইতে এরাজ্যে ৭ হাজার ৬৪৫টি যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রি হয়েছিল। সেদিক থেকে দেখলে এই বিপর্যয়ের মধ্যেও এবছর মাত্র হাজার খানেক গাড়ি বিক্রি কম হয়েছে। ফেডারেশন অব অটোমোবাইল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের হিসেব অনুযায়ী, গত মাসে এরাজ্যে মোট গাড়ি বিক্রির সংখ্যা ৭৭ হাজার ২৬০।
উৎসবের মরশুম আসন্ন। তাই চলতি আগস্ট মাস নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ডিলাররা। প্রতিবছরই দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে এই মাস থেকেই বিক্রির পরিমাণ বাড়তে থাকে। ডিলারদের অনুমান, আগের তুলনায় চলতি বছরে সার্বিকভাবে ১৫ থেকে ৩৫ শতাংশ বিক্রি কমতে পারে। কিন্তু এই পরিস্থিতির উল্টোদিকে থাকবে ট্রাক্টর বিক্রি। কারণ, পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, দেশজুড়ে ট্রাক্টরের বাজার চাঙ্গা।