বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
মূলত, পমফ্রেট, চাইনিজ পমফ্রেট, বাগদা চিংড়ি, ক্যাটেল ফিশ, হালুয়ার মতো মাছ বিদেশে যায়। ছোট পমফ্রেট, যেগুলি ৭০-৮০ গ্রামের হয়, সেগুলি চলে আসে স্থানীয় বাজারে। এর চেয়ে বেশি ওজনের মাছ রপ্তানি হয়। বর্তমানে এই মাছের জোগানে কোনও ঘাটতি নেই। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী সঙ্কট তৈরি হওয়ায় মাছ রপ্তানিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, এই ব্যবসায়ীদের থেকে মাছ কেনে এক্সপোর্ট এজেন্সিগুলি। মেরিন প্রোডাক্ট এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এই গোটা প্রক্রিয়া নজরদারি করে। মৎস্য ব্যবসায়ীদের এই লোকসানের কথা স্বীকার করে ওই সংস্থার এক কর্তা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে এখানকার ব্যবসায়ীদের থেকে অনেকটাই কম দামে মাছ কেনা হচ্ছে। অন্তত ৩০ শতাংশ দাম কম পাচ্ছেন তাঁরা।
ব্যবসায়ীদের মতে, সাধারণ পরিস্থিতিতে ১০০-১৫০ গ্রামের পমফ্রেট ৫০০-৫৫০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হতো। সেটাই এখন ৩০০-৩৫০ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। এর চেয়ে একটু বড় মাছ (২০০-৩০০ গ্রাম) আগে বিক্রি হতো ৭০০-৮০০ টাকা প্রতি কেজি, সেই দামও এখন নেমে এসেছে ৫৫০-৬০০ টাকায়। চাইনিজ পমফ্রেট-এর (৫০০ গ্রাম) দাম যেখানে ১৫০০-১৭০০ টাকা প্রতি কেজি ছিল, সেখানে এই মাছ ৯০০-১১০০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। হালুয়া মাছের কেজি ছিল ৪৫০-৫০০ টাকা, তা এখন বিকোচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকায়। ক্যাটেল ফিশের দাম কমলেও ফারাক অতটা কমেনি। আগে যে মাছ ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হতো, তা এখন কমে হয়েছে ১৪০-১৬০ টাকা। বাগদা চিংড়ির দাম ছিল ১২০০-১৩০০ টাকা প্রতি কেজি। সেটাও নেমে এসেছে ৬০০-৮০০ টাকা প্রতি কেজিতে।
এরাজ্য থেকে বিদেশে মাছ রপ্তানির হার গত দু’-তিন বছরের তুলনায় বাড়লেও করোনা আবহে তা কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন সংস্থার ওই কর্তার মতে, বহু দেশে হোটেল-রেস্তরাঁ খুললেও, সেগুলি ফাঁকাই যাচ্ছে। ফলে যে পরিমাণ মাছ ইউরোপ, ভিয়েতনাম কিংবা জাপানে যেত, তা অস্বাভাবিক হারে কমে গিয়েছে। তাই কম দামেই সেগুলি কিনে পাঠাতে হচ্ছে। আবার যখন পুরোদমে সব কিছু খুলে যাবে, তখন পরিস্থিতি ঠিক হবে।