কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
লকডাউনের জেরে কাজ বন্ধ ছিল টানা প্রায় তিন মাস। কাপড় বোনা হয়ে গেলেও ক্রেতা মেলেনি সেভাবে। পাওয়া যায়নি উপযুক্ত দাম। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে তাঁতশিল্পীদের। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের রোজগারের সুযোগ করে দিয়েছে তন্তুজ। অন্য বছরের তুলনায় অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে পুজোর কাপড় কেনা। সূত্রের খবর, এর মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় শিবির করে সরাসরি তাঁতশিল্পীদের থেকে দেড় কোটি টাকার কাপড় কেনা হয়েছে। ধাত্রীগ্রাম থেকে শুরু করে বিষ্ণুপুর, সমুদ্রগড় ইত্যাদি এলাকা থেকে তা কেনা হয়েছে। এর মধ্যে বালুচরী, জামদানি ইত্যাদি শাড়ি রয়েছে। আর সাধারণভাবে তন্তুজ কাপড় কিনেছে আরও ৪ কোটি টাকার। মন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামীদিনে আরও শিবির করার প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। ধুঁকতে থাকা সংস্থা থেকে লাভজনক উদ্যোগ। এমনই উত্থান হয়েছে তন্তুজের। রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের সময়, ২০১১-’১২ সালে সংস্থার মোট ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১৫৭ কোটি টাকা। তখন বার্ষিক টার্নওভার ছিল ৫৫ কোটি টাকা। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন, সেই জায়গা থেকে গত অর্থবর্ষে (২০১৯-’২০) বাৎসরিক টার্নওভার দাঁড়িয়েছে ৩১৩ কোটি টাকা। গত অর্থবর্ষে লাভ হয়েছে ১৮ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা। জানা গিয়েছে, আর মাত্র ২৯ কোটি মোট লাভ হলেই সরকারকে ডিভিডেন্ড দেওয়ার মতো অবস্থায় পৌঁছে যাবে সংস্থাটি।
তন্তুজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন রাজ্যের ৭ হাজারের বেশি তাঁতশিল্পী। দেশজুড়ে ৮৪টি বিপণন কেন্দ্র রয়েছে তন্তুজের। লকডাউনের জেরে ৭ জুন পর্যন্ত সেগুলি বন্ধ ছিল। তবে সরকারি সূত্রে খবর, অনলাইন ব্যবসাই হাল ফিরিয়েছে সংস্থার।