পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ভারত পেট্রলিয়াম স্বেচ্ছা অবসর প্রকল্প ঘোষণা করেছে। গত ২৩ জুলাই ইস্যু হয়েছে নোটিস। ১৩ আগস্টের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়েছে কর্মীদের। এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীদের বলা হয়েছে, হয় বিনা বেতনে ছুটি, না হলে স্বেচ্ছা অবসর... পছন্দ বেছে নিতে। একইভাবে অন্য যে সরকারি সংস্থাগুলিকে বেসরকারিকরণের আওতায় আনা হবে, সেখানকার কর্মীদেরও স্বেচ্ছা অবসরের অফার দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বলা হচ্ছে, যে কর্মীরা নতুন মালিকানার সংস্থায় কাজ করতে আগ্রহী নন, তাঁরা স্বেচ্ছা অবসরের আবেদন করতে পারেন। উল্লেখ্য, ভারত পেট্রলিয়ামের কর্মীসংখ্যা প্রায় ২১ হাজার। বিপিসিএল কেনার জন্য যে এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট জমা দেওয়ার কথা, সেই সময়সীমা ৩১ জুলাই শেষ হয়েছে। সরকারের টার্গেট, বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে আড়াই লক্ষ কোটি টাকা আয়। ২০২০-২০২১ অর্থবর্ষেই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৯০ হাজার কোটি টাকা। যদিও লকডাউনের কারণে সেই লক্ষ্য আদৌ পূরণ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে ২৩টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ করা হবে। এই তালিকায় সবার আগে রয়েছে আইডিবিআই ব্যাঙ্ক। এই ব্যাঙ্কের কোনও অংশীদারিত্ব আর সরকার রাখতে চাইছে না। আইডিবিআই ব্যাঙ্কের ৪৬.৫ শতাংশ রয়েছে কেন্দ্রের হাতে। ৫১ শতাংশ অংশীদার জীবন বিমা নিগম। পাশাপাশি শুরু হবে এলআইসির শেয়ার বিক্রি এবং ভারত পেট্রলিয়াম কর্পোরেশন ও কনকর ইন্ডিয়ার বিলগ্নিকরণ। এইসব রূপায়ণের পাশাপাশি কয়েকটি বিমা সংস্থা নিয়েও সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। প্রাথমিকভাবে অবশ্য বিমা সংস্থাগুলির সংযুক্তিকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরপর প্রয়োজন পড়লে বেসরকারিকরণ। আগামীকাল, মঙ্গলবার থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি নির্ধারক কমিটির বৈঠক শুরু। চলবে তিন দিন। বেশ কিছু আর্থিক নীতির ঘোষণা সেখানে হবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রকও নেবে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত। সরকার ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, স্ট্র্যাটেজিক সেক্টরের মধ্যে ব্যাঙ্ক, বিমা, রাষ্ট্রায়ত্ত ও প্রতিরক্ষা উপকরণকে আনা হবে। এই স্ট্র্যাটেজিক সেক্টরকে চিহ্নিত করার লক্ষ্য হল, মাথাভারী প্রশাসন এবং সরকারের মধ্যে বোঝাপড়ার যে অভাব রয়েছে, সেটা দূর করা।