গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বর্তমান যুদ্ধের আবহে কর্মক্ষেত্রে দুই দেশের কর্মীরা একযোগে কাজ করে উৎপাদনের নতুন রেকর্ড গড়েছেন। ঝাঁঝরা প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা ইসিএল কর্তাদের দাবি, গত অর্থবর্ষে সাড়ে তিন লক্ষ মেট্রিক টন কয়লা উৎপাদন করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে এই প্রজেক্ট। এলাকার মানুষের আতিথেয়তায় মুগ্ন চীনের নাগরিকরাও। তবে লকডাউন ও যুদ্ধের আবহে বাড়ি ফিরতে না পেরে অনেকে আক্ষেপও করছেন।
ইসিএলের সিএমডির কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় বলেন, স্বাভাবিক গতিতেই চলছে ঝাঁঝরা প্রকল্পের কাজ। দুই দেশের টেকনিশিয়ানরা একসঙ্গে কাজ করে রেকর্ড উৎপাদন করেছেন।
ইসিএলের ঝাঁঝরা আন্ডারগ্রাউন্ড মাইন প্রজেক্ট দেশের মধ্যে সর্বাধুনিক। পাওয়ার সাপোর্ট লং ওয়াল টেকনিক এখানে ব্যবহৃত হয়। এই প্রজেক্টের গ্লোবাল টেন্ডারে অংশ নিয়ে একাংশে উৎপাদনের দায়িত্ব পায় চীনা সংস্থা। ২০১৫ সাল থেকে ২০২৩ পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে। শুধু চীনের মেশিন নয়, চুক্তি অনুযায়ী ছ’মাস অন্তর ৩০ জন করে সেদেশের টেকনিশিয়ান কাজ করছেন।
তবে, বর্তমানে দুই দেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ে ইসিএলের। কোল ইন্ডিয়ার সুপারিশ মতো ইসিএল কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তাঁদের নিরাপত্তার জন্য সিআইএসএফ মোতায়েন করে। কিন্তু সব আশঙ্কাই মিথ্যা প্রমাণ করেছেন ঝাঁঝরার বাসিন্দারা। ওই চীনা কর্মীদের প্রতি কোনওরকম বিদ্বেষ নেই এলাকার ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষের। যার জেরে সে দেশের নাগরিকরাও অবাধে বাইরে বেরিয়ে বাজার করছেন। তবে শুধু বাজারই নয়, কোলিয়ারির ভিতরেও ভারত ও চীনা নাগরিকদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। তারই সুফল হিসেবে উৎপাদনের রেকর্ড গড়েছে এই প্রজেক্ট। তিন শিফ্টে চীনা টেকনিশিয়ানরা কাজ করছেন। সংস্থার দাবি, বর্তমানে তাঁদের বাড়ি ফেরার উপায় নেই। তাই এদেশের মানুষের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওঁরা ভারতীয় উৎসবেও অংশ নেন। এমনকী গত বছর চীনা নাগরিকদের রাখী পরিয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, এবারও তাঁরা থাকলে রাখী পরাবেন। স্থানীয় বাসিন্দা তথা ইসিএলের কর্মী পলাশ পাণ্ডে বলেন, আমরা সবাই একসঙ্গে থাকি। কোনও ভেদাভেদ নেই। ফল বিক্রেতা পাপু মোদি, মুদি ব্যবসায়ী সঞ্জীব দত্ত বলেন, ওঁরা অন্য সময়ের মতোই আমাদের কাছ থেকে বাজার করছেন।