রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
সঙ্ঘ পরিবারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে থাকা বিএমএস বর্তমানে সদস্য সংখ্যার নিরিখে দেশের এক নম্বর শ্রমিক সংগঠন। খনি ধর্মঘটের ডাকে তারা এবার হাত মিলিয়েছে রাজনৈতিকভাবে বিপরীত মেরুতে থাকা বাম ও কংগ্রেসপন্থী সংগঠনগুলির সঙ্গে। ৪১টি নতুন কয়লা ব্লক বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি নিলাম পর্বের সূচনা করেছেন। দর দেওয়ার আগে আগামী মাসে এই খনিগুলির ভৌগোলিক অবস্থান সরেজমিনে যাচাই করার কথা আগ্রহী নিলামদার সংস্থাগুলির। কিন্তু তার আগে ৭২ ঘণ্টা খনি বন্ধ করে কোল ইন্ডিয়া তথা সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে ধর্মঘটী সংগঠনগুলি। বিএমএস অনুমোদিত কয়লা শ্রমিক ফেডারেশনের প্রধান তথা একদা মোদি ঘনিষ্ঠ ডঃ বি কে রাই কেন্দ্রকে বিড়ম্বনায় ফেলার ব্যাপারে প্রধান চাবিকাঠি হয়ে উঠেছেন।
কোল ইন্ডিয়া সূত্রের খবর, ধর্মঘটের নোটিস পাওয়ার পর সরকারের নির্দেশে কয়লার পাশাপাশি শ্রমমন্ত্রককেও মধ্যস্থতার দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার কলকাতায় ডেপুটি চিফ লেবার কমিশনার টি কে পাণ্ডা কোল ইন্ডিয়ার কর্তাদের পাশাপাশি ইউনিয়নগুলির নেতৃত্বকে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে ডেকেছেন। তার আগে অবশ্য কয়লা মন্ত্রকের এক যুগ্মসচিব আলোচনার আহ্বান জানিয়েছিলেন বি কে রাইদের। কিন্তু ২৬ জুনের সেই বৈঠকে হাজির হতে অস্বীকার করেন তাঁরা। সোমবার সঙ্ঘ-সেবক এই শ্রমিক নেতা জানান, মঙ্গলবার চিফ লেবার কমিশনারের ডাকা বৈঠক তাঁরা বর্জন করছেন। কারণ, এই স্তরের বৈঠক কার্যত নিষ্ফলা হয়। আমরা চাই, আগে মোদি সরকার কয়লা ব্লকের নিলাম স্থগিত রেখে আলোচনায় ডাকুক আমাদের। নাহলে দেশের সম্পদ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে আমরা আপসে যেতে রাজি নই কিছুতেই। বাকি তিন সংগঠন—সিটু, এআইটিইউসি এবং আইএনটিইউসি’র নেতৃত্ব অবশ্য বিএমএসের এই অবস্থানে খুশি হলেও পুরোপুরি সন্দেহমুক্ত হতে পারছে না।