সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
লকডাউন পর্বে জনজীবন অনেকটাই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন বহু ব্যবসায়ী। ফের সামাজিক অনুষ্ঠান শুরু হতে স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ী মহলে। রবিবার কালনা শহরে তিনটি বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। আড়ম্বর না থাকলেও ছোটখাট প্যান্ডেল, আলো, অল্প সংখ্যক নিমন্ত্রিতদের নিয়ে চলে অনুষ্ঠান। এর জেরে ডেকোরেটর থেকে ক্যাটারার, পুরোহিত থেকে রাঁধুনিরা কিছুটা আয়ের মুখ দেখতে পাচ্ছেন।
সদ্য বিবাহিত কালনার বাসিন্দা অভিজিৎ দত্ত বলেন, কয়েক মাস আগেই রেজিষ্ট্রি ম্যারেজ হয়ে গিয়েছিল। ১৭ মে বিয়ের দিন ধরা ছিল। কিন্তু লকডাউনের জন্য তা সম্ভব হয়নি। তাই ৩১ জুন অনাড়ম্বর ভাবেই বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে। কালনার চকবাজারের দশকর্ম ভাণ্ডারের মালিক চাঁদু ভারতী বলেন, দু’মাস কোনও বেচাকেনা ছিল না। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। দিন কয়েক ধরে বেশ কয়েকটি বিয়ের অনুষ্ঠানে মালপত্র বিক্রি করেছি। আশা করি সবকিছুই আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। করোনা নিয়েই আগামীদিনে আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে।
কালনা মহকুমা ডেকোরেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অনুপ চক্রবর্তী বলেন, দীর্ঘ লকডাউনের পর সামাজিক অনুষ্ঠান পর্ব কিছু কিছু শুরু হয়েছে। একটু হলেও আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। তবে এই পেশার অনেকেই অন্য পেশায় চলে গিয়েছেন। আগামীদিনে কর্মী সমস্যা দেখা দিতে পারে।
স্থানীয় ক্যাটারার মালিক নিতাই মুখোপাধ্যায় বলেন, সামাজিক অনুষ্ঠান শুরু হলেও লোক সমাগম তেমন না হওয়ায় এই মুহূর্তে ক্যাটারার সংস্থাগুলির তেমন কাজ নেই। অনুষ্ঠান হলেও অনেক কিছুই কাটছাঁট করতে হচ্ছে তাঁদের। পুরোহিত তুহিন মুখোপাধ্যায় বলেন, লকডাউনে আর্থিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলতে হচ্ছিল। সামাজিক অনুষ্ঠান চালু হওয়ায় কিছুটা আশা দেখছি।
পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির কালনা শাখার সম্পাদক রণজিৎ মোদক বলেন, লকডাউন পর্বে ব্যবসা তলানিতে ঠেকেছিল। কর্মচারীদের বেতন ঘর থেকে দিতে হয়েছে। এবার আশা করছি, কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখা যাবে।