বিদ্যার্থীদের উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। ব্যবসাতে যুক্ত ... বিশদ
বিগত কয়েক বছর ধরেই আমূল বদলে যেতে শুরু করেছিল দেশের সুগন্ধী ব্যবসা। শুধু ভোগ্যপণ্যেই যে সুগন্ধীর ব্যবহার বেড়েছিল, তা নয়। খাবারে সুগন্ধী মেশানোর তাগিদও বেড়েছে কয়েক গুণ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এদেশে প্রাকৃতিক সুগন্ধীর মধ্যে দামের নিরিখে এগিয়ে আছে উদ। উত্তর-পূর্ব ভারতে উৎপাদিত এই এসেন্সিয়াল অয়েলের দাম প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা কেজি। এরপর আছে গোলাপ। তুরস্ক বা বুলগেরিয়া থেকে আসা রোজ এসেন্সের কিলো প্রায় আট লক্ষ টাকা। চন্দন তেলের দামও প্রতি কেজি প্রায় এক লাখ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলেন, চন্দনদস্যু বীরাপ্পন মারা যাওয়ার পর এদেশে চন্দনের স্থিতিশীল বাজার নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এখানকার চন্দনের বীজ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া চন্দন-বাগান গড়ে যে তেল তৈরি করছে, তার সঙ্গে টক্কর দিতে পারছে না ভারত। তবু হরেক মশলা বা অন্য বেশ কয়েকটি ভেষজ দ্রব্যের প্রাকৃতিক সুগন্ধীর এতদিন ভালো ব্যবসা করত এই শিল্প। বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করে এই শিল্প।
কিন্তু, সেখানে আচমকাই হাঁড়ির হাল কেন? ফ্রেগন্যান্সেস অ্যান্ড ফ্লেভার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া সূত্রে জানা গিয়েছে, খাদ্যদ্রব্য বা ভোগ্যপণ্যের জন্য যে সুগন্ধী প্রয়োজন, তার জোগান তারা দিতে পারছে না লকডাউনের কারণে। কাঁচামালও মিলছে না অনেক ক্ষেত্রেই, আমদানিতেও সমস্যা আছে। এর মধ্যে চীন এখানকার ভোগ্যপণ্যের সুগন্ধী সরবরাহ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। কারণ, চীন থেকে আসা মালের দাম কম। তাই সঙ্কটে দেশের প্রায় এক হাজার সুগন্ধী সংস্থা। তাহলে উপায়? কেন্দ্রের কাছে বিভিন্ন আর্থিক প্যাকেজ দাবি করেছে এই শিল্প। আপাতত হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ফল বা আনাজ জীবাণুমুক্ত করার লোশন বা সাবানের বর্ধিত বাজার ধরাই তাদের পাখির চোখ।