নয়াদিল্লি, ১৭ মে (পিটিআই): লকডাউনের মধ্যেও একের পর এক বিনিয়োগ ঘরে তুলছে মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের ডিজিটাল শাখা জিও।
কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শনিবার ছিল ‘দি জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’-এর শততম প্রতিষ্ঠা দিবস। প্রয়াত হরিপদ দত্ত ১৯২০ সালের ১৬ ই মে ‘দি জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’-এর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মিস্টার জর্জ হরিপদ দত্তকে ওয়্যারলেস টেলিগ্রাফি এবং টেলিফোনি শিখিয়েছিলেন। সেই জর্জ সাহেবের নামেই নামকরণ করা হয় প্রতিষ্ঠানের। হরিপদ দত্ত মিস্টার জর্জকে প্রথম প্রিন্সিপালের পদে বসান। সেই সময় ওয়্যারলেস টেলিগ্রাফির প্রবল চাহিদা ছিল। জাহাজ, রেল, থানা, ডাকঘর—সর্বত্রই এর ব্যবহার হতো। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখন নতুন নতুন কোর্স সংযোজিত হয়েছে জর্জ টেলিগ্রাফে। এসেছে নতুন প্রযুক্তি। পরবর্তীকালে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, রেডিও টেলিভিশন ইঞ্জিনিয়ারিং, অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, এয়ার কন্ডিশন অ্যান্ড রেফ্রিজারেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার হার্ডওয়ার অ্যান্ড অ্যাডভান্স নেটওয়ার্কিং, ইলেকট্রিক্যাল টেকনিশিয়ান কোর্স অন্তর্ভুক্ত হয়েছে পাঠক্রমে। আধুনিক প্রযুক্তির চাহিদা অনুযায়ী এসেছে ডেটা সায়েন্স, প্যারামেডিক্যাল কোর্স, কম্পিউটার সফটওয়্যার, সিভিল কনস্ট্রাকশন টেকনোলজি, বিউটি অ্যান্ড ওয়েলনেস। প্রায় ৮০টিরও বেশি পাঠ্যক্রমে সমৃদ্ধ এই সংস্থা। সারা দেশে প্রতিষ্ঠানের ৭০টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কুড়ি হাজারেরও বেশি ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছে। ছাত্রছাত্রীদের সঠিক দিশা দেখানোই জর্জ টেলিগ্রাফের লক্ষ্য ও আদর্শ। বর্তমানে কঠিন পরিস্থিতিতেও জর্জ টেলিগ্রাফ অনলাইন সব কোর্স চালিয়ে যাচ্ছে। ভর্তি প্রক্রিয়াও চলছে অনলাইনে। কর্পোরেট দুনিয়ার সঙ্গে সংস্থার নিয়মিত যোগাযোগ থাকায় পড়ুয়াদের কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হবে পাশ করে বেরনোর পর। বেশ কিছু সংস্থার সঙ্গে জর্জ টেলিগ্রাফ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পাঠক্রমে টাই-আপ করেছে। ক্রীড়াজগতেও জর্জ টেলিগ্রাফ এখন একটি প্রতিষ্ঠিত নাম। কলকাতা ফুটবল লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশনে খেলা ছাড়াও সিএবি’র অধীনে নিয়মিত প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নেয় শতবর্ষ পেরনো এই প্রতিষ্ঠান।
