বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ছৌ মুখোশ, ডোকরা, শীতল পাটি, কাঠের পুতুল, মাটির পুতুল, মাদুর, পটচিত্র, টেরাকোটা, সাবাই ঘাসের সামগ্রী, সুতো কাটা, কাপড় বোনার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন রাজ্যের প্রচুর সংখ্যক মানুষ। কিন্তু লকডাউনের জেরে তাঁদের কাজকর্ম বন্ধ। বিক্রির উপযুক্ত পরিবেশ না থাকার ফলে
তাঁরা উৎপাদন করতে পারেননি। স্বাভাবিকভাবেই এতে তাঁদের আর্থিক সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে বলে
জানান শিল্পীরা। এই অবস্থায় শিল্পীদের পাশে দাঁড়াতে পশ্চিমবঙ্গ খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রোডাক্ট বা পণ্যের বিপণন ও বিক্রির যাবতীয় ব্যবস্থা তারাই করবে। উৎপাদন শুরু করার জন্য বিভিন্ন ক্লাস্টারে বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সংস্থার বক্তব্য, এই কঠিন সময়ে শিল্পীদের পাশে থাকাটাই পর্ষদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
পর্ষদের অধীন ৩৭টি ক্লাস্টার রয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু ক্লাস্টারে স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশিকা মেনে উৎপাদন শুরুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সংস্থার বক্তব্য, উৎপাদিত দ্রব্যটি কীভাবে বিক্রি করবেন, করোনা ও লকডাউনের পরিস্থিতির জেরে শিল্পীদের কাছে সেটাই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমস্যা নিরসনে একদিকে উৎপাদনের বরাত দেওয়া হয়েছে শিল্পীদের, অন্যদিকে তা কিনে নিয়ে খাদির আউটলেটগুলিতে বিক্রির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। খাদি ও গ্রামীণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ৫০ হাজারের উপরে মানুষ উপকৃত হবেন বলে মত পর্ষদের চেয়ারম্যান গৌরীশঙ্কর দত্তের।