কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
একইসঙ্গে এদিন মালিকপক্ষ আর্জি জানিয়েছেন, লকডাউন পর্বে আটকে থাকার পর যেসব পরিযায়ী শ্রমিক ঘরে ফিরছেন, তাঁদের অর্থসাহায্যের পাশাপাশি পরবর্তী ছ’মাসের রেশনের ব্যবস্থাও করা হোক। এঁদের সাহায্য করার জন্য একটি জাতীয় মহামারী তহবিল গঠনেরও দাবি জানিয়েছে তারা। সামাজিক সুরক্ষা সংক্রান্ত খরচ কমানোরও আর্জি জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে। অন্যদিকে, সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি আজ অভিযোগ করেছে, গুজরাতের ধাঁচেই এবার উত্তরপ্রদেশ সরকারও শ্রমিক-কর্মচারীদের দৈনিক কাজের সময়সীমা আট ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে ১২ ঘণ্টা করেছে। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি লিখেছে ইউটিইউসি। এর প্রতিবাদেই এদিনই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকেও চিঠি পাঠিয়েছে সমস্ত বাম দল এবং আরজেডি।
এরই পাশাপাশি লকডাউনে কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের (ইপিএফও) গ্রাহকদের কোভিড-ক্লেমের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলেও অনেক সময়ই ভুল ব্যাঙ্ক ডিটেলস দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এবং যার ফলে টাকা তোলার আবেদন মঞ্জুর হলেও নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে ঢুকছে না টাকা। এর জেরে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের পাশাপাশিই চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ইপিএফওকে। এই পরিস্থিতিতে সমস্যার সমাধানের জন্য গ্রাহকদের অবিলম্বে ব্যাঙ্ক ডিটেলস খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের আওতাধীন কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ইপিএফ অ্যাকাউন্টে যদি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর কিম্বা আইএফএসসি কোড ভুল থাকে, তাহলে আবেদন মঞ্জুর হলেও নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে না।
ইপিএফওর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইউএএনের (ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর) সঙ্গে ভুল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত করে রাখা হয়েছে কি না, তা দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে আপাতত আঞ্চলিক ইপিএফও কার্যালয়ে উপস্থিত হতে হবে না। বাড়িতে বসেই অনলাইন পরিষেবার মাধ্যমে তা খতিয়ে দেখতে পারবেন তাঁরা। প্রয়োজনে সংশোধনও করতে পারবেন। ইপিএফও জানিয়েছে, নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে লগ ইন করে ‘ম্যানেজ’ বিকল্পে যেতে হবে গ্রাহককে। সেখান থেকে বেছে নিতে হবে ‘কেওয়াইসি’।
ওই বিকল্পেই সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক বাছাই করে তার অ্যাকাউন্ট নম্বর, নাম এবং আইএফএসসি লিখে সেভ করতে হবে। সংস্থা কর্তৃপক্ষ এতে অনুমোদন দিলেই আপডেটেড ব্যাঙ্ক ডিটেলস কেওয়াইসি সেকশনে দেখতে পারবেন গ্রাহকেরা। কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে তাদের কাছে প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ কোভিড-ক্লেমের আবেদন এসেছে। সেগুলো মঞ্জুর হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত কোভিড-ক্লেমে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা তুলেছেন গ্রাহকেরা।