পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গত ২৪মার্চ থেকে ২৬দিন বন্ধ থাকার পর জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মেনে হলদিয়া পেট্রকেম চালু হয়। সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা প্ল্যান্ট হেড অশোককুমার ঘোষ বলেন, ন্যাপথা ক্র্যাকার প্ল্যান্টের হিটারগুলি ‘স্টার্ট আপ’ হওয়ার ১০-১২দিনের মধ্যেই প্ল্যান্ট প্রায় পুরোদমে চালু হয়ে গিয়েছে। এখন প্ল্যান্টলোড ৮৫ শতাংশ অর্থাৎ কারখানার উৎপাদন ক্ষমতার ৮৫শতাংশ চালু রয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে ১০০শতাংশ হারে অর্থাৎ ফুল লোডে প্ল্যান্ট চালানো হবে। পুরোদমে প্ল্যান্ট চালু রাখলে উৎপাদন খরচ কম হয়। ফলে বিশ্ব প্রতিযোগিতার বাজারে পণ্য বিক্রিতে সুবিধা হয়। বিদেশে রপ্তানির দিকে তাকিয়েই পুরোদমে উৎপাদন শুরু হয়েছে।
পেট্রকেমের প্ল্যান্ট হেড অশোকবাবু বলেন, লকডাউনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্যান্য রাজ্যে উৎপাদিত পণ্য চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। তবে রাজ্য সরকার ক্ষুদ্র শিল্পগুলিকে কম সংখ্যক কর্মী নিয়ে কারখানা খুলতে অনুমতি দেওয়ায় ধীরে ধীরে প্লাস্টিক কারখানাগুলি খুলছে। হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা রেড জোনে থাকায় সমস্যা হচ্ছে। এই এলাকাগুলিতে পেট্রকেমের অনুসারি শিল্প প্লাস্টিক কারখানাগুলির বড় অংশ রয়েছে। গণপরিবহণ ব্যবস্থা চালু না হওয়ায় কর্মীরা আসতে পারছেন না। কারখানা চালুর ইঙ্গিত পেয়ে অনেকেই হাইডেনসিটি পলিইথিলিনের মতো কাঁচামালের অর্ডার দিচ্ছেন। ফলে তিন চারদিন ধরে পেট্রকেমে ডেসপ্যাচ শুরু হয়েছে।
তিনি জানান, দেশে অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রির উৎপাদন বন্ধ থাকায় পলি প্রপিলিনের মতো পলিমারের চাহিদা কম। কিন্তু ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডের মতো দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে এলএলডিপিই, পিপি’র ব্যাপক চাহিদা থাকায় প্রচুর পলিমার রপ্তানি করছে পেট্রকেম। উৎপাদিত পলিমারের ২৫শতাংশ এখন বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। এর আগে এত পরিমাণ পলিমার বিদেশে রপ্তানি হয়নি। প্ল্যান্টের উৎপাদন ১০০শতাংশ করে বিদেশে রপ্তানি আরও বাড়ানো হবে। করোনা এবং বাণিজ্যিক কারণে চীনের পণ্য দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বাজারে কম আসায় পেট্রকেমের সামনে নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই রপ্তানি বাজারই দেশীয় বাজারে লকডাউনের সময় অক্সিজেন জোগাচ্ছে বলে মনে করে পেট্রকেম কর্তৃপক্ষ।
সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনার জন্য সোশ্যাল ডিসটেন্সিংয়ের নিয়ম মানতে ৫০শতাংশ কর্মী নিয়ে আপাতত প্ল্যান্ট চালানো হচ্ছে। শ্রমিক কর্মচারীদের নয়া করোনা সতর্কতা বিধি জারি করা হয়েছে। পেট্রকেমের মূল গেটে শ্রমিক কর্মচারীদের উপস্থিতি জানতে আঙুলের ছাপের বদলে ‘ফেস রেকনিশন ক্যামেরা সিস্টেম’ বসানো হয়েছে। এছাড়া শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য বাসের সংখ্যা বাড়ানো, ক্যান্টিনে খাওয়ার সময়সীমা বাড়ানো সহ একগুচ্ছ নিয়ম চালু হয়েছে।