রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
রাজ্যের যেসব জায়গায় তাঁতের মাধ্যমে শাড়ি, ধুতি, গামছা হাতে বোনা হয়, তার মধ্যে হাওড়া জেলার উদয়নারায়ণপুর ব্লক অন্যতম। জেলার শেষপ্রান্তে অবস্থিত এই ব্লকের হরালি, সুলতানপুর, গজা, হরিহরপুর, হোদল, সিংটি, পাঁচারুল, কল্যাণচক, খিলা সহ একাধিক গ্রামের প্রায় ৪৫০০ পরিবার এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। এখনাকার তাঁতিদের বোনা জিনিসপত্র শুধুমাত্র হাওড়া জেলায় নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেও আজ সমান জনপ্রিয়। যদিও বর্তমানে লকডাউনের জেরে এইসব পরিবারে এখন কালো অন্ধকারের ছায়া। অধিকাংশ তাঁতির মতে, সারা বছর অল্পবিস্তর বিক্রি হলেও পয়লা বৈশাখ, ইদ, দুর্গাপূজাতে ভালো বিক্রি হয় এবং প্রতিটি তাঁতি বছরের এই বিশেষ দিনগুলির দিকে তাকিয়ে থাকেন। যদিও এই বছর করোনা আতঙ্কে লকডাউনের জেরে বিক্রি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংসার চালানো দুস্কর হয়ে উঠেছে। এমনকি লকডাউন উঠে গেলেও বাজারে বিক্রি নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন তাঁতিরা। তবে অধিকাংশ তাঁতির আশা, তন্তুজ যদি তাঁদের থেকে মালপত্র কেনে, তাহলে কিছুটা আর্থিক ক্ষতি সামলানো যাবে।
অন্যদিকে, তাঁতিদের এই সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তন্তুজের ভাইস চেয়ারম্যান সমীর পাঁজা। তিনি জানান, লকডাউনের জেরে সমস্যার মুখে পড়েছেন এই ব্লকের তাঁতিরা। তবে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়াও তন্তুজের মাধ্যমে কীভাবে তাঁতিদের সাহায্য করা যায়, সেই ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।