কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বুধবার দুই সংস্থার মধ্যে এই চুক্তির কথা এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে জিও। ফেসবুকের তরফে একটি ব্লগ পোস্টেও একই কথা জানানো হয়েছে। এর ফলে, মুকেশের জিও প্ল্যাটফর্ম সংস্থায় অন্য সংস্থার থাকা শেয়ারের নিরিখে শীর্ষস্থান দখল করল ফেসবুক। এ বিষয়ে ফেসবুকে জুকেরবার্গ লিখেছেন, ‘জিওর সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমরা ভারতে বিনিয়োগ করছি। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে আমরা একজোট হয়ে কাজ করতে চলেছি। যাতে ভারতবাসীর সামনে আরও ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া যায়।’ সেইসঙ্গে ভারতে থাকা ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের বিপুল গ্রাহককে কাজে লাগাতে চাইছেন তিনি। ফেসবুককর্তার কথায়, ‘ভারতের একটা বড় অংশ ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের মধ্যে প্রতিভাবান উদ্যোগপতিও রয়েছেন। এই মুহূর্তে জিওর হাত ধরে ভারত ডিজিটাল পরিবর্তনের মাঝপথে পৌঁছে গিয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে কোটি কোটি ভারতবাসীকে ক্ষুদ্র ব্যবসার সঙ্গে জুড়ে দিতে বড় ভূমিকা নিয়েছে তারা। আর এই ক্ষুদ্র ব্যবসাই যে কোনও দেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি। তাই এ ব্যাপারে ওদের আমাদের সাহায্য করা প্রয়োজন।’
অন্যদিকে শরিক হিসেবে ফেসবুককে পাশে পেয়ে মুকেশ আম্বানি বলেছেন, ‘ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ এখন ভারতের ঘরে ঘরে। সেইসঙ্গে জিওর পরিষেবাও দেশের একটা বড় অংশের মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। এই দুই শক্তি মিলে যাওয়ায় আমরা নিত্য নতুন পরিকল্পনা করতে পারব। আমাদের লক্ষ্য হল, খুব তাড়াতাড়ি তিন কোটি ব্যবসায়ী সংস্থাকে এই অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত করতে। এর মাধ্যমে সরাসরি আর্থিক লেনদেন করা সম্ভব হবে। ঘরে বসেই গ্রাহকরা দোকান থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসের অর্ডারও দিতে পারবেন। পাশাপাশি, এর ফলে নতুন কর্মসংস্থান হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আম্বানির কথায়, ‘এই পদ্ধতিতে ছোট ব্যবসায়ীরা আরও বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারবেন। সেইসঙ্গে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, মহিলা ও যুব সমাজের উন্নতিতে সাহায্য করবে এই নতুন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম।’
জিও-ফেসবুকের এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন আর এক শিল্পপতি আনন্দ মাহিন্দ্রা। তিনি বলেছেন, ‘এই চুক্তিতে শুধু সংশ্লিষ্ট দুই সংস্থা উপকৃত হবে তা নয়, করোনা সঙ্কটের মধ্যে এই চুক্তি সঙ্কট পরবর্তী ভারতীয় অর্থনীতির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গোটা বিশ্ব যে ব্যবসার জন্য ভারতের মুখাপেক্ষী এটাই তার ইঙ্গিত দিচ্ছে। সাবাস মুকেশ।’ রিলায়েন্স জিও-র অনেকগুলি প্ল্যাটফর্ম আছে। নেট পরিষেবা ছাড়াও জিওর অন্যতম বড় ই-কমার্স হল জিওমার্ট। এ বছরের গোড়াতেই জিওমার্ট চালুর কথা ঘোষণা করেছিলেন মুকেশ আম্বানি। যাকে রিলায়েন্স ‘দেশ কি নয়ি দুকান’ নাম দিয়েছে। সেখানে ৫০ হাজারেরও বেশি মুদি দ্রব্য পাওয়া যাবে। অনলাইনে অর্ডার করা সেই দ্রব্য কোনও ডেলিভারি চার্জ ছাড়াই পৌঁছে যাবে গ্রাহকের বাড়িতে। এই জিওমার্টের সঙ্গেই এবার জোট বাঁধতে চলেছে ফেসবুকের অধীনস্থ সংস্থা হোয়াটসঅ্যাপ।
সম্প্রতি ভারতে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যঙ্কের অনুমতি পেয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। সূত্রের খবর, গুগল পে কিংবা পেটিএমের মতো সংস্থাগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে চাইছে তারা। যেহেতু হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা চ্যাটিংয়ে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন, তাই অনায়াসেই তাঁরা পেমেন্টও করতে পারবেন। আর সেজন্য একটা বড় লগ্নি করার প্রয়োজন ছিল। জিওর সঙ্গে যুক্ত হয়ে সেই কাজটাই এবার করে ফেলল ফেসবুক।