বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কমোডিটি এক্সচেঞ্জ হিসেবে এমসিএক্স-এ বৃহস্পতিবার ২৪ ক্যারেট সোনার ১০ গ্রামের দাম ৪৭ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যায়, যা সর্বকালীন রেকর্ড। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টাকার দাম ডলারের নিরিখে পড়েই চলেছে। তার জেরে এদেশে সোনার দাম বাড়ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারেও প্রতিদিনই চড়ছে হলুদ ধাতুর দর। গোটা বিশ্বেই আর্থিক মন্দা জাঁকিয়ে বসবে, এই আশঙ্কায় শেয়ার বাজার টালমাটাল। তাই নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনাকেই বেছে নিচ্ছেন লগ্নিকারীরা।
ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব হলমার্কিং সেন্টার্স-এর প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি হর্ষদ আজমেড়া বলেন, জুন মাসে সোনা কেনার জন্য ফিউচার মার্কেটে সোনার দর বৃহস্পতিবার ছিল ৪৭ হাজার ৪৫ টাকা। ওইদিনই ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়, ১০ গ্রাম সোনার দর ৪৯ হাজার ৩২০ টাকা। শুক্রবার দর যায় ৪৮ হাজার ৩০২ টাকায়। এই দর অবশ্য তিন শতাংশ জিএসটি ধরে। হর্ষদ আজমেড়ার ব্যাখ্যা, এখন সোনার দোকানগুলি বন্ধ। কিন্তু যদি কোনও ক্রেতা ভবিষ্যতে গয়নার ডেলিভারি নেবেন, এই শর্তে আজ সোনার বরাত দেন, তাহলে তাঁকে জিএসটি সহ ওই দর দিতে হবে। দেশজুড়ে করোনা আতঙ্কের কারণে যে পরিস্থিতি এতটা জটিল হয়ে উঠেছে, তা স্বীকার করেছেন জেজে গোল্ডের কর্ণধার হর্ষদ আজমেড়া। সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের সিএমডি শঙ্কর সেন বলেন, সোনার দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে কোনও বাস্তবতা খুঁজে পাচ্ছি না। পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে, বোঝা যাচ্ছে না। আসলে গোটা বিশ্ব করোনায় যেভাবে জর্জরিত হয়েছে, তাতে অর্থনীতিতে কঠিন পরিস্থিতি চলছে। আমেরিকা করোনায় ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। লন্ডনের যে বাজার সোনার দামের অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে, তারাও দীর্ঘমেয়াদি লকডাউনের আশঙ্কা করছে। ভবিষ্যতের বাজার কী হবে, তা নিয়ে মানুষের আশঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে। এর ফলে ফিউচার মার্কেটে সোনার দাম ক্রমশ চড়ছে। তবে আশার আলো একটাই। লকডাউন উঠলে ধীরে ধীরে বাজারগুলি চালু হবে। ফের সব কিছু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করলে আবার সোনার দাম বাস্তব অবস্থায় ফিরবে বলেই মনে হয়।
গোটা দেশের সঙ্গে এরাজ্যেও সোনার বাস্তব কেনাবেচা বন্ধ। দোকানিরা বলছেন, যেভাবে দাম বেড়ে চলেছে সোনার, ক্রেতাদের তা সেভাবে গায়ে লাগছে না, এটাই যা আশার কথা। কিন্তু পরিস্থিতি এমন চলবে না। সব কিছু স্বাভাবিক হলে দোকান খুলতেই হবে। লকডাউনের কারণে এমনিতেই বহু পরিবারে বিয়ে পিছিয়ে গিয়েছে। আবার আগামী মরশুমেই বিয়ের পরিকল্পনা আছে অনেকের। ফলে তাঁদের এই দামের চাপ বহন করতে হতে পারে বলে মনে করছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। বাস্তবে কী ঘটবে, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।