বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
লকডাউনের জেরে বাজারে চালের চাহিদা বেড়েছে। খোলাবাজারে দাম ও কিছুটা বেড়েছে বলে সরকারের কাছে খবর আসায় এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ নজরদারি শুরু করেছে। রাইস মিল মালিকদের দাবি, মোটা ধান থেকে উৎপাদিত চাল তাঁরা খোলাবাজারে ২৬ টাকা কেজি দরে সরবরাহ করছেন। কেন্দ্রীয় সরকার মোটা ধানের ন্যূনতম সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করেছে কুইন্টাল প্রতি ১,৮১৫ টাকা। এই হিসেবে রাইস মিলে ওই চালের এক কেজির দাম হওয়ার কথা ২৮ টাকার মতো।খোলাবাজারে ধানের দাম এখন প্রায় ১৭০০ টাকা, যা সরকার নির্ধারিত মূল্যের কাছাকাছি। খোলাবাজারেই চাষিরা ভালো দাম পাওয়ায় খরিফ মরশুমে ওঠা ধানের বেশিরভাগ অংশই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। ফলে সরকারের কাছে বিক্রির প্রবণতা কমেছে। তবে সরকার গত কয়েক মাসে চাষিদের কাছ থেকে যে পরিমাণ ধান কিনেছে, তাতে রেশনে চাল সরবরাহ করতে কোনও সমস্যা হবে না বলে খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। রেশনে দেওয়ার জন্য সরকারি মজুত ভাণ্ডারে এখন পাঁচ-ছ’মাসের চাল মজুত রয়েছে। চলতি খরিফ মরশুমে এখনও পর্যন্ত সরকারি উদ্যোগে প্রায় ৩০ লক্ষ টন ধান কেনা হয়েছে। এই ধান থেকে অন্তত ২১ লক্ষ টন চাল পাওয়া যাবে। সারা বছর রেশন এবং মিড ডে মিলের জন্য ২৬ লক্ষ টনের মতো চাল লাগে। বোরো ধান ওঠার পর আবার সরকারের কাছে ধান বিক্রির পরিমাণ বাড়বে বলে খাদ্য দপ্তর আশা করছে। খোলাবাজারে যে বাঁশকাঠি, মিনিকিট প্রভৃতি সরু চাল সরবরাহ হয়, সেই ধান বোরো মরশুমে ওঠে। এখন আগের মরশুমে উৎপাদিত ধান থেকে সরু চাল উৎপাদন হচ্ছে। রাইস মিল মালিকদের বক্তব্য, মিনিকিট প্রভৃতি চালের ধানের দাম এখন কুইন্টাল প্রতি প্রায় ২,৮০০ টাকা। ফলে রাইস মিলেই এক কেজি চাল উৎপাদনের খরচ প্রায় ৪০ টাকার কাছাকাছি দাঁড়াচ্ছে।