কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
লকডাউন এবং অন্যান্য বাধ্যবাধকতার কারণে সাধারণ মানুষ ব্যাঙ্কিং সহ বিভিন্ন পরিষেবা আগের মতো পাচ্ছেন না। বিমার প্রিমিয়াম জমা দেওয়াও তেমনই একটি সমস্যা। সেই কথা মাথায় রেখেই সংস্থাগুলিকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আইআরডিএআই। তারা জানিয়েছে, বিমা সংস্থাগুলিকে তাদের ওয়েবসাইটে জানাতে হবে, করোনা সংক্রান্ত সঙ্কটে বিমা গ্রাহকদের জন্য তারা কী কী বিকল্প ব্যবস্থা করবে।
জীবন বিমা প্রিমিয়ামের ক্ষেত্রে সাধারণত বিমা গ্রহীতাকে কিছুটা সময় বাড়তি বা গ্রেস দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে বলা হয়েছে, ওই বাড়তি সময়ের পাশাপাশি আরও ৩০ দিন অতিরিক্ত সময় দিতে হবে গ্রাহককে। স্বাস্থ্যবিমার ক্ষেত্রেও ৩০ দিনের জন্য বেশি সময় বরাদ্দ করতে হবে প্রিমিয়াম জমার জন্য। অর্থাৎ ওই বাড়তি সময়ের মধ্যে যদি গ্রাহক প্রিমিয়াম জমা করেন, তাহলে তাঁর পলিসিটির কোনও ‘ব্রেক’ হবে না। একাধিক বছর ধরে পলিসি চালিয়ে যাওয়ার যে সুবিধা গ্রাহককে দিয়ে থাকে বিমা সংস্থা, সেই সুবিধা এই ক্ষেত্রেও দিয়ে যেতে হবে। এই বিষয়টি গ্রাহককেও জানিয়ে দিতে হবে ইমেল বা এসএমএসের মাধ্যমে, যাতে গ্রাহকের সঙ্গে বিমা সংস্থার যোগাযোগ বা বোঝাপড়ায় কোনও ফাঁক না থাকে।
আইআরডিএআই আগেই জানিয়েছিল, কোনও গ্রাহক করোনায় আক্রান্ত হলে, তাঁকে বিমার সুবিধা দিতে হবে। এবার তারা জানিয়েছে, বিমার সুবিধা মেলার ক্ষেত্রে যাতে কোনওভাবে দেরি না হয়, তার দায়িত্ব নিতে হবে সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্থাকে। সেই মতো বিমার প্রসেসিংয়ের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। যে এলাকায় করোনার আক্রমণ জোরাল, সেই অঞ্চলগুলিতে এই ব্যাপারে বাড়তি নজর দিতে হবে সংস্থাগুলিকে।
করোনা ভাইরাসের আক্রমণ নিয়ে বিমা সংস্থাগুলি আদৌ তাদের নির্দেশাবলিকে মান্যতা দিল কি না, এই বিষয়ে কড়া নজর রাখতে চায় ইন্সিওরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া। তারা জানিয়েছে, করোনা সংক্রান্ত বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ করল সংস্থাগুলি, ১৫ দিন অন্তর তার রিপোর্ট পাঠাতে হবে কেন্দ্রীয় বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থাটিকে। পাশাপাশি করোনায় মৃত্যুজনিত কত টাকা বিমা বাবদ দাবি মেটাল সংস্থাগুলি, সেই সংক্রান্ত রিপোর্টও আলাদা করে তৈরি করে রাখতে হবে তাদের। যে কোনও সময় সেই রিপোর্ট চেয়ে পাঠাতে পারে আইআরডিএআই।