পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, নদীয়া জেলায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার আগেও তৈরি হয়েছে। ২০১৫ সালে জেলার কয়েকটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী স্যানিটাইজার তৈরির কাজ করেছে। তা বাজারের নামী দামি সংস্থার স্যানিটাইজারের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতোই ছিল। কিন্তু বাজার ধরতে সক্ষম না হওয়ায় খুব তাড়াতাড়ি খুব থুবড়ে পড়ে এই প্রকল্প। কৃষ্ণনগর জেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে এখনও রয়েছে প্রোডাকশন ইউনিট।
জেলাশাসক বিভু গোয়েল বলেন, এখানে আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির কাজ হয়েছে। আমরা সেই পরিকাঠামোতেই আবার কাজ শুরু করতে চলেছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটা আমরা করব। আর স্যানিটাইজার নিয়ে কোনও কালোবাজারি হচ্ছে কি না সেটাও আমরা দেখছি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্যে নাম পাঠানোর পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের কর্তারা যত দ্রুত সম্ভব এই ইউনিট চালু করে দিতে চাইছে। ডিস্ট্রিক্ট রুরাল ডেভেলপমেন্ট সেলের পক্ষ থেকে এই কাজ করা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সঙ্গে কথাও বলা হয়েছে। তাঁরা কতটা কী করতে পারবেন, কীভাবে সব হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া প্রোডাকশন ইউনিটের সব সরঞ্জাম ঠিক আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, এই কাজের জন্য একজন কেমিস্ট প্রয়োজন। ইতিমধ্যে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরকে একজন কেমিস্ট খোঁজার কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে। সঙ্গে অ্যালকোহল মজুত রাখার জন্য লাইসেন্স লাগবে। সেটা নেওয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।
নোভেল করোনা ভাইরাস প্রতিহত করতে বারবার হাত ধোয়ার পরামর্শ দিচ্ছে সরকার থেকে চিকিৎসকরা। ব্যবহারের সুবিধার কারণে হঠাৎ হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ারের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। কিছু দোকানে যে কটা পড়েছিল, তাও দ্রুত বিক্রি হয়ে গিয়েছে। তারপর ডিলারের কাছে অর্ডার দিয়েও এক বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলেন, প্রতিদিন অন্তত ১০০জন এসে স্যানিটাইজ়ার না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতাল মোড়ের এক ওষুধের দোকানের মালিক বলেন, চাহিদাটা এক লাফে বেড়ে দিনে ৫০ থেকে ৬০টিতে এসে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু কোথাও মাল পাচ্ছি না। সর্বত্র এক চিত্র। স্যানিটাইজারের হাহাকার। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, এখনই কেউ বলতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের তৈরি স্যানিটাইজার অনেকটাই কার্যকরী হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী সরকারি অফিসগুলিতেও স্যানিটাইজার ব্যবহার করার কথা বললেও এদিন কিন্তু জেলাশাসকের কার্যালয় বা জেলা পরিষদ কোথাও এই ব্যবস্থা চোখে পড়েনি। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, স্যানিটাইজার বাজারে অমিল। সে কারণেই আমাদেরও সেটা পেতে সমস্যা হচ্ছে। প্রয়োজনে লিকুইড হ্যান্ড ওয়াশ ব্যবহার করা হবে। জেলা পরিষদেও কোথাও স্যানিটাইজারের ব্যবহারের দৃশ্য এদিন চোখে পড়েনি। কৃষ্ণনগরের দোকানগুলি থেকে কার্যত গায়েব হয়ে গিয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। চিকিৎসকরা বলেন, জীবাণু তথা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সাবান জলের চেয়ে অ্যালকোহল অনেক বেশি কার্যকর। তাই স্যানিটাইজ়ার না পেলে হ্যান্ডওয়াশের চেয়ে ৭০ শতাংশ অ্যালকোহলের দ্রবণই ভালো। আফটার সেভ দিয়ে প্রয়োজনে তা বানিয়েও নেওয়া যেতে পারে।