প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
রাজ্য সরকার আয়োজিত বেঙ্গল গ্লোবাল বিজেনেস সামিটে হাজির হয়েছিলেন প্রবাসী ভারতীয় শিল্পপতি ইন্দোরামার কর্ণধার অলোক লোহিয়া। এরাজ্যের শিল্প পরিকাঠামো ও প্রশাসনিক মনোভাব ও তৎপরতা মুগ্ধ করেছিল তাঁকে, এমনটাই দাবি রাজ্য সরকারের। এরপরই কলকাতা থেকে সংস্থার সার্ভিস অপারেশন চালানোর উদ্যোগ শুরু হয়। ঠিক হয় গ্লোবাল বিজনেস সার্ভিস সেন্টার খোলা হবে নিউটাউনে। সেখানে একটি স্পেশাল ইকোনমিক জোনে তারা ইতিমধ্যেই জায়গা নিয়েছে। এখান থেকেই সংস্থার আর্থিক বিষয় ও কাঁচামাল কেনার দিকটি পরিচালনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। বিশ্বের সবক’টি ইউনিটে এই সেন্টার থেকেই ওই পরিষেবা দেবে ইন্দোরামা। প্রসঙ্গত, পেট্রকেমিক্যাল সংস্থা হিসেবে ৩৩টি দেশে ব্যবসা করে ইন্দোরামা। ১১০টি উৎপাদন সংস্থা আছে তাদের। সেই তালিকায় ভারতের পাশাপাশি আছে ইন্দোনেশিয়া, চীন, মায়ানমার, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, নাইজিরিয়া, ঘানা, পর্তুগাল, আমেরিকা, কানাডা, মেক্সিকো, ব্রাজিল প্রভৃতি।
সংস্থার কর্তারা জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে প্রতিযোগিতার বাজারে সাফল্য বজায় রাখতে তাঁরা খরচের উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে চান। এক জানালা ব্যবস্থায় যাতে সেই পরিষেবা দেওয়া যায়, তার জন্যই সচেষ্ট হচ্ছে ইন্দোরামা। এক্ষেত্রে নিউটাউন থেকে যে সার্ভিস সেন্টার চালু হবে, তা তাদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। কলকাতায় ব্যবসার পরিধি আরও বাড়াতে চায় ইন্দোরামা, জানিয়েছেন সংস্থার কর্তারা। তাঁদের কথায়, চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে কলকাতায় কাজ শুরু করে দিতে চায় ইন্দোরামা। পরবর্তীকালে কাজের পরিধি বাড়ানো হবে। প্রাথমিকভাবে প্রায় ২৫০ কর্মী নিয়োগ করা হলেও, তা ধাপে ধাপে ৬০০ তে নিয়ে যাওয়া হবে। এরাজ্যের দক্ষ কর্মীদের উপর আস্থা রাখতে চাইছে থাইল্যান্ডের এই বহুজাতিক সংস্থা।