পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পরিবহণ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০০ সাল থেকে গোটা দেশে বিএস (ভারত স্টেজ) প্রযুক্তি চালু হয়। ২০০৫ সালে বিএস টু এবং ২০১০ সালে বিএস থ্রি প্রযুক্তির বাইক ও গাড়ি চালু হয়েছিল। ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ থেকে গোটা দেশে বিএস থ্রি বাইক ও গাড়ি বিক্রি বন্ধ করা হয়। ওই বছর ১ এপ্রিল থেকে কেবলমাত্র বিএস ফোর বাইক ও গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হচ্ছে। বিএস ফোরের পর এবার বিএস সিক্স প্রযুক্তির বাইক ও গাড়ি বাজারে আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই বেশকিছু কোম্পানি বিএস সিক্স বাইক ও গাড়ি বাজারে নিয়েও এসেছে। সেগুলির রেজিস্ট্রেশনও শুরু হয়েছে।
বিএস ফোরের তুলনায় বিএস সিক্স প্রযুক্তির বাইক ও গাড়ির দূষণ কম হবে। কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রো কার্বন, নাইট্রেজেন অক্সাইড প্রভৃতির মাত্রা অনেকটাই কমবে। মূলত বায়ু দূষণ রুখতেই দেশজুড়ে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন বাইক ও গাড়ি কোম্পানিগুলি বিএস সিক্স প্রযুক্তিতে বেশকিছু নতুন ফিচারসও নিয়ে আসছে। তাতে বাইক ও গাড়ির দামও একটু বাড়ছে। নতুন বিএস সিক্স বাইক ও গাড়িগুলির জন্য বিএস সিক্স গ্রেডের পেট্রল ও ডিজেল লাগবে। এবার থেকে দেশের বিভিন্ন পেট্রল পাম্পে বিএস সিক্স গ্রেডের পেট্রল ও ডিজেলও বিক্রি হবে।
পূর্ব বর্ধমান জেলাতেই প্রতিদিন প্রায় আড়াই হাজার নতুন বাইক ও গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করা হয়। তাই ৩১ মার্চের বিষয়ে গত বুধবার এই জেলায় বাইক ও গাড়ির ডিলারদের নিয়ে জেলা প্রশাসন এবং পরিবহণ দপ্তরের পক্ষ থেকে বৈঠকও করা হয়েছে। তারপরই বিএস ফোর প্রযুক্তির পুরনো স্টক ক্লিয়ার করতে এখন উঠে পড়ে লেগেছে ডিলাররা। কারণ, হাতে মাত্র আড়াই সপ্তাহ সময় রয়েছে। তাই সেলের মাধ্যমে ক্রেতা টানতে বেশিরভাগ জায়গায় আর্কষণীয় ছাড় দেওয়া হচ্ছে। বহু বাইক ও গাড়ির উপর খবরের কাগজেও ছাড়ের বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। অফার পেয়ে অনেকে এখন বাইক ও গাড়ির শোরুমেও দৌড়াচ্ছেন।
বিএস ফোর প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমানের আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক রানা বিশ্বাস বলেন, আগামী ৩১ মার্চ থেকে গোটা দেশেই বিএস ফোর বাইক ও গাড়ি বিক্রি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে এটা কার্যকর হচ্ছে। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী আমরা জেলার ডিলারদেরও জানিয়ে দিয়েছি। ৩১ মার্চের পর বিএস ফোর বাইক বা গাড়ির কোনও রেজিস্ট্রেশন হবে না। কেবলমাত্র বিএস সিক্স বাইক ও গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করা হবে।