কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কী নির্দেশিকা দিয়েছে এফএসএসএআই? তারা বলছে, মিষ্টির উৎপাদন এবং তা নষ্ট হওয়ার তারিখ লিখতে হবে দোকানিকে। আগামী জুন মাস থেকে এই নিয়ম বাধ্যতামূলকভাবে চালু করা হবে। কেন এই নিয়ম? কেন্দ্রের যুক্তি, অনেক ক্রেতা অভিযোগ করেন, তাঁরা মিষ্টি কিনে ঠকে গিয়েছেন। কখনও তাঁদের খারাপ মিষ্টি বিক্রি করে দেয় দোকানি। টিন বা প্যাকেটজাত মিষ্টিতে নষ্ট হওয়ার দিন উল্লেখ থাকলেও, শোরুমের সাধারণ মিষ্টিতে তেমন কিছু লিখে রাখার বালাই নেই। এবার সেইসব মিষ্টির জন্যই বিধি আনছে এফএসএসএআই। এতে ক্ষুব্ধ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা। পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রবীন্দ্রকুমার পাল বলেন, এ এক আশ্চর্য গেরো। আমাদের বলা হয়েছে, সব মিষ্টির উৎপাদন ও নষ্ট হওয়ার তারিখ ঘোষণা করতে হবে। আমাদের প্রশ্ন, রাজ্যের ১.১০ লক্ষ মিষ্টির দোকানের সিংহভাগে যেখানে আলাদা করে রিসেপশন বা ক্যাশ কাউন্টার নেই, সেখানে এই নিয়ম চালু করা আদৌ সম্ভব? তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম, আমরা সেই প্রথা চালু করলাম। যাঁরা দোকানে এসে মিষ্টি খাচ্ছেন, তাঁরা জানতে পারলেন মিষ্টি কতটা টাটকা। কিন্তু যাঁরা বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে যাবেন, তাঁদের যে প্যাকেটে মুড়ে মিষ্টি দেব, সেখানে তো উৎপাদন বা নষ্ট হওয়া সংক্রান্ত তথ্য থাকবে না। সেক্ষেত্রে মিষ্টি খারাপ হওয়ার তথ্য কীভাবে প্রমাণিত হবে? তাছাড়া তৈরির সমস্যার কারণে টাটকা মিষ্টিতেও অনেক সময় টকভাব আসতে পারে। সেক্ষেত্রেই বা কী করে উৎপাদন ও নষ্টের তারিখ লেখা হবে? ক্রেতারা তা মানবেন কেন? রবীনবাবুরা ইতিমধ্যেই দিল্লিতে গিয়ে এফএসএসএআইয়ের অফিসে বৈঠক করে এসেছেন। তাঁরা আলোচনা করেছেন এফএসএসএআই-এর পূর্বাঞ্চলীয় ডিরেক্টর এবং রাজ্যের ফুড সেফটি কমিশনারের সঙ্গেও। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি, এমনটাই জানিয়েছেন তাঁরা। সেকারণেই ফের তাঁরা দিল্লিতে দরবার করবেন বলে মনস্থির করেছেন।
মিষ্টি বিক্রেতাদের সর্বভারতীয় সংগঠন ফেডারেশন অব সুইটস অ্যান্ড নমকিন ম্যানুফ্যাকচারার্স-এর সদস্য এবং কে সি দাশের কর্ণধার ধীমান দাশ বলেন, আমি আমাদের সংস্থার উদাহরণ দিয়ে বলতে পারি, এখানে শোরুম পিছু প্রায় দেড়শো ট্রে’তে মিষ্টি সাজানো থাকে। সেখানে মিষ্টির নাম যেমন লেখা থাকে, তেমনই অনেক ক্ষেত্রেই আমরা লিখে দিই, এটি আজই খেয়ে নিতে হবে। আমরা এগুলি লিখে রাখি প্রিন্ট করে। কিন্তু রোজ যদি ট্রেগুলিতে মিষ্টির উৎপাদন এবং নষ্ট হওয়ার তারিখ উল্লেখ করতে হয়, তাহলে তো কারবার লাটে উঠবে। আমরা ওই কাজ করব, নাকি দোকান সামলাব? তাছাড়া শুধু মিষ্টির ক্ষেত্রেই বা এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে কেন? কেক বা পেস্ট্রির মতো খাবারেও কেন সেই তথ্য লেখার কথা ঘোষণা করছে না কেন্দ্রীয় সরকার, সেই প্রশ্নও তুলেছেন ধীমানবাবু। তিনি বলেন, দিল্লিতে সরকারের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করেছি। আমরা মুম্বইয়ে আমাদের সংগঠনের জাতীয় স্তরের বৈঠক করব এবং কীভাবে আমাদের প্রতিবাদকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, তার রূপরেখা তৈরি করব।