ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
আবির, রং, পিচকারি, নানা ধরনের রঙিন মুখোশের ডালা সাজানো রয়েছে জানবাজারে। অস্থায়ী দোকান নিয়ে বসেছেন বেশ কিছু ব্যবসায়ী। মজুত রাখা রয়েছে উৎসবের সমস্ত উপকরণ। কিন্তু দেখা নেই ক্রেতার। গত তিন-চারদিনের ব্যবসার হাল বিচার করে শেষদিনে ব্যাপক বিক্রির আশা ছেড়েছেন অনেকে। জানবাজারের এক আবির বিক্রেতা বাবলু শাহ বলেন, গতবারের থেকে ব্যবসার হাল অনেক খারাপ। এই বছর করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষের মধ্যে অদ্ভুত ভয় তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, গুজব ছড়ানো হয়েছে যে, সব আবির এবং রং চীন থেকে আমদানি করা হয়েছে। মানুষের মধ্যে ধারণা জন্মেছে, এই আবির দিয়ে উৎসব পালন করলে তাঁরা এই রোগে সংক্রমিত হতে পারেন। সেকারণেই আবির এবং রঙের থেকে বিমুখ শহরবাসী।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, জানবাজারে প্রতি ১০০ গ্রাম আবির বিক্রি করা হচ্ছে ১০ টাকা দরে। যা গত বছরের তুলনায় বেশ খানিকটা কম। অপরদিকে সমান পরিমাণ রঙের দাম ১০০ টাকা। দাম কম থাকলেও ক্রেতার চোখ টানতে অক্ষম বিক্রেতারা। কলকাতায় আবিরের মূল বাজারের অবস্থাও তথৈবচ। দোলের আগের দিন বড়বাজারে বিপুল পরিমাণ আবির, রং অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। স্পষ্টতই উৎসবের আনন্দ ধরা পড়েনি ব্যবসায়ীদের চোখে-মুখে। রাজেশ যাদব নামে এক ব্যবসায়ীর দাবি, এখানে কোনও রকম চীনা আবিরের ব্যবসা করা হয় না। ফলে ক্রেতাদের ভয়ের কারণ নেই। সমস্ত আবির-রং ভারতেই তৈরি করা হয়। কিছু নয়া নকশার পিচকারি চীন থেকে নিয়ে আসা হলেও তাতে সংক্রমণের আশঙ্কা নেই।
তবে এই আশঙ্কা স্পষ্ট হয়েছে রবীন্দ্র সরণীতে। দেখা গিয়েছে, বেশ কিছু খুদেরা ছোট ছোট প্লাস্টিকে জল ভরে উৎসবের আনন্দে মশগুল হয়েছে। তবে সেই জল একেবারে স্বচ্ছ। তাতে রং বা আবিরের ছিটেফোঁটা নেই। তাদের মধ্যে এক খুদেকে জলে রং না থাকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কিশোরের উত্তর, মা বলেছে রোগ ছড়াবে আবির মাখলে। তাই রং ছাড়াই মজা করছি। গুজব হোক কিংবা সচেতনতা, এই বছর দোলের উন্মাদনায় ভাটার ছবি পরিষ্কার।