পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
উলুবেড়িয়া এলকার মৎস্য ব্যাবসায়ীদের সুবিধার্থে জাতীয় মৎস্য উন্নয়ন পর্ষদ এবং রাজ্য মৎস্য দপ্তরের আর্থিক সহায়তায় বেনফিস উলুবেড়িয়া ১ নং ব্লকের ধূলাসিমলায় এবং উলুবেড়িয়া পুরসভার ফুলেশ্বর বাসস্ট্যান্ডে দুটি মৎস্য বাজার তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। সেইমতো বছর দুয়েক আগে ধূলাসিমলায় ২৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৩৬টি স্টলবিশিষ্ট একটি মৎস্য বাজার এবং ফুলেশ্বর বাসস্ট্যান্ডে ২ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১২ হাজার ৭৫০ স্কোয়ার ফুট এলাকায় ১৩৩টি স্টলবিশিষ্ট দ্বিতল মৎস্য বাজার নির্মাণ করা হয়। পরবর্তী পর্যায়ে ২০১৮ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ দুটি বাজার উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর ধূলাসিমলার মৎস্যবাজার চালু হলেও পরিকাঠামোর অভাবে ফুলেশ্বরের মৎস্য বাজার আর চালু করা যায়নি। যদিও পুরসভার দাবি ছিল যেহেতু ধূলাসিমলার তুলনায় ফুলেশ্বরের মৎস্যবাজার অনেকটাই বড় এবং এখানে পাইকারি মৎস্য ব্যবসায়ীরা ব্যবসার প্রয়োজনে এখানে আসবেন, সেই কারণে একটি বরফ কলেরও প্রয়োজন। আর বরফ কলটি সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মৎস্যবাজার চালু করা যাচ্ছে না। এদিকে মৎস্য বাজার উদ্বোধনের পর প্রায় ২ বছর কেটে গেলেও বাজার চালু না হওয়ায় হতাশ মৎস্য ব্যবসায়ীরা। তাঁদের মতে, বরফ কল যখন হবে তখন হবে। তার জন্য অপেক্ষা না করে, আপাতত মৎস্য বাজার চালু করে দিলে তাঁরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। আর ব্যবসায়ীদের স্বার্থে পুরসভা এবার মৎস্যবাজার চালু করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল।
মৎস্য বাজার চালু সর্ম্পকে উলুবেড়িয়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান আব্বাসউদ্দিন খান জানান, প্রাথমিকভাবে মৎস্য বাজার উদ্বোধনের পর আমরা বরফকলের সঙ্গেই মৎস্য বাজার চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এখন ব্যবসায়ীদের স্বার্থেই বরফ কল ছাড়াই দ্রুত মৎস্য বাজার চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
অন্যদিকে উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাস জানান, আপাতত এই মাসেই বাজার চালু করে দেওয়া হবে। পরে ধাপে ধাপে বরফ কল তৈরি করা হবে।
যদিও মৎস্য বাজার চালুর ঘোষণাকে পুর নির্বাচনের আগে রাজনীতির চমক বলে দাবি করেছেন উলুবেড়িয়া পুরসভার বিরোধী দলনেতা সাবিরউদ্দিন মোল্লা। তিনি জানান এইরকম বহু প্রকল্প পড়ে আছে, কোনটাই চালু হয়নি এটার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা হবে।