কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর কৌশিক নন্দী বলেন, ইছামতী মিল্ক ইউনিয়নকে আর্থিকভাবে দৃঢ় ভিতের উপর দাঁড় করানোর পাশাপাশি জেলার প্রত্যেকটি মানুষের কাছে খাঁটি দুগ্ধজাত সামগ্রী পৌঁছে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। জেলার চাষিদের উৎপাদিত খাঁটি দুধ থেকে উৎপাদিত সামগ্রী জেলাবাসীর কাছে নির্দিষ্ট দামে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা সেলস কাউন্টার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিভিন্ন পুরসভা, হাসপাতাল, বিডিও অফিস সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাজারে কিয়স্ক তৈরি করে সামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে। আয় বাড়লে জেলা চাষিরাই উপকৃত হবেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইছামতী কোঅপারেটিভ মিল্ক প্রোডিউসার ইউনিয়ন লিমিটেডে দুধ দেন জেলার প্রায় ১৪ হাজার মানুষ। প্রতিদিন দুধ সংগ্রহ করা হয় প্রায় ১০ থেকে ১১ হাজার লিটার। এর মধ্যে সিংহভাগ দুধ মাদার ডেয়ারিকে দিয়ে দেওয়া হয়। জেলাবাসীর কাছে সঠিক দামে খাঁটি দুগ্ধজাত সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কয়েক বছর আগে বেড়াচাঁপায় দুগ্ধজাত সামগ্রী তৈরির ইউনিট করা হয়। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩০০০ লিটার দুধ থেকে দুগ্ধজাত সামগ্রী তৈরি করা হয়। বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঘির দাম রাখা হয়েছে ৫২৫ টাকা কেজি, পনির কেজি ৩০০ টাকা ও ২০০ গ্রামের লস্যির দাম রাখা হয়েছে ১৫ টাকা। স্বাদ-গুণ নিয়ে গ্রাহক মহলে প্রশ্ন না উঠলেও ইছামতীর সামগ্রী চাইলেই পেতেন না জেলাবাসী। কারণ, শুধুমাত্র বারাসত আদালত লাগোয়া সংস্থার মূল কার্যালয়ের সামনে একটি মাত্র সেলস কাউন্টার ছিল। এছাড়া ৩৬ জন ডিস্ট্রিবিউটর ছিলেন। কিন্তু, সরকারি ব্যবস্থাপনায় সঠিক সময়ে ডিস্ট্রিবিউটরের কাছে সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া, অর্ডার অনুযায়ী সাপ্লাই দেওয়ার ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থার তুলনায় অনেকটাই ঘাটতি ছিল বলে অভিযোগ।
এবার সংস্থার আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পুরসভা, বিডিও অফিস, হাসপাতাল ও গুরুত্বপূর্ণ বাজারে কিয়স্ক খোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কিয়স্ক চালু হলে বেকারদের যেমন কর্মসংস্থান হবে, তেমন বিক্রিও একলাফে অনেকটাই বাড়বে। জানুয়ারি মাসে গাইঘাটা বিডিও অফিসে নতুন কিয়স্কের উদ্বোধনের পর বিক্রি দেখে আধিকারিকরাও উৎসাহিত হয়েছেন। কারণ, মাত্র ৪০ দিনে ১ লক্ষ ৪ হাজার টাকার ঘি ও পেঁড়া বিক্রি হয়েছে। এখনও গাইঘাটায় পনির ও লস্যি পাঠানো শুরু হয়নি। লস্যি ও পনির গেলে দ্বিগুণের বেশি টাকার বিক্রি হত বলে দাবি আধিকারিকদের। এই কারণে, জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সরকারি সংস্থার তৈরি দুগ্ধজাত সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে জেলা প্রশাসন।
ইতিমধ্যে সংস্থার তরফে বারাসত পুরসভা, বারাসত জেলা হাসপাতাল সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরকে কিয়স্ক খোলার জন্য চিঠিও দেওয়া হয়েছে। উৎসাহী বেকার যুবক যুবতীরাও নিজে উদ্যোগে ডিস্ট্রিবিউটরশিপ নিতে পারেন বা কিয়স্ক খুলতে পারেন। সেকারণে সংস্থার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ইছামতীর দুগ্ধজাত সামগ্রী যে কোনও বেসরকারি কোম্পানিকে দশ গোল দিতে পারে। কারণ, সরকারি ব্যবস্থাপনায় ভেজালের কোনও বিষয় নেই। কিন্তু, বেশ কিছু জটিলতা ও উদ্যোগের ঘাটতির কারণে ইছামতীর ব্র্যান্ডিং সেইভাবে হয়নি ও সেলস কাউন্টারও সেইভাবে নেই। নতুন করে উদ্যোগ নেওয়া গেলে ইছামতী রাজ্যের যে কোনও মিল্ক ইউনিয়নের কাছে মডেল হতে পারে।