পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাধারণত ওভারচার্জিংয়ের অভিযোগ এলে এবং তা প্রমাণিত হলে ঘটনার গুরুত্ব খতিয়ে দেখে বেশ কিছু পদক্ষেপ করতে পারে রেল। তার মধ্যে যেমন আর্থিক জরিমানা রয়েছে, তেমনই শুধুমাত্র সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে নিছকই ‘পরামর্শ’ দেওয়ার চলও রয়েছে রেলমন্ত্রকে। এবার ঘটনার গুরুত্ব খতিয়ে দেখে সরাসরি লাইসেন্স বাতিলের মতো কড়া পদক্ষেপের পথেই হাঁটতে চলেছে রেলমন্ত্রক। জানা যাচ্ছে, ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রেলমন্ত্রকের কাছে চলন্ত ট্রেনে খাবার বিক্রিতে ওভারচার্জিংয়ের অভিযোগ এসেছে ১ হাজার ৯৬২টি। যার মধ্যে ৯৮৯টি ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানা করেছে রেলমন্ত্রক। সরকারি তথ্য জানাচ্ছে, এই ৯৮৯টি ক্ষেত্রে জরিমানা বাবদ রেলের আদায় হয়েছে মোট ৭৫ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮০০ টাকা। ১ হাজার ৯৬২টি কেসের মধ্যে সতর্ক করা হয়েছে ৫২৬টি ক্ষেত্রে। এবং শুধুমাত্র পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ২৭৩টি ক্ষেত্রে। রেল জানিয়েছে, উল্লিখিত সময়সীমায় ওভারচার্জিংয়ের হাজারদু’য়েক অভিযোগ এলেও ৫৫টি ক্ষেত্রে সেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
খাবারের প্যাকেটে এমআরপির উল্লেখ না থাকলে সংস্থার লাইসেন্স বাতিলের পাশাপাশিই আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ করার কথাও জানিয়েছে রেলমন্ত্রক। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, চলন্ত ট্রেনে ব্যাপক হারে পিওএস (পয়েন্ট অব সেল) যন্ত্রের ব্যবহার। অর্থাৎ খাবার কেনার পর ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে যাতে টাকা মেটাতে পারেন যাত্রীরা। এক্ষেত্রে নগদের ব্যবহার কমলে ওভারচার্জিংয়ের সুযোগও সেভাবে থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। খাবারের প্যাকেটে কিউআর (কুইক রেসপন্স) কোড ব্যবহারেও জোর দিচ্ছে রেলমন্ত্রক। যাতে তা স্ক্যান করে দাম সহ নির্দিষ্ট প্যাকেটটি সম্পর্কে সবিস্তার তথ্য পেয়ে যান রেলযাত্রীরা। একইসঙ্গে ট্রেনের খাবারের মেনু কার্ড সম্বলিত রেট চার্ট যাতে সমস্ত যাত্রীর কাছে থাকে, তারও ব্যবস্থা করছে রেল। এই ইস্যুতে রেলের ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢালাও প্রচারেরও উদ্যোগ নিচ্ছে মন্ত্রক। ইতিমধ্যেই ‘নো বিল-দ্য ফুড ইজ ফর ফ্রি’ কর্মসূচি চালু করেছে রেল। এর অর্থ, খাবার কেনার পর যদি সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারী সংস্থা বিল না দেয়, তাহলে ওই খাবারের জন্য কোনও দাম দিতে হবে না যাত্রীকে। এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাও দাম দেওয়ার জন্য ওই যাত্রীকে বাধ্য করতে পারবে না। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে যাত্রীরা এই সংক্রান্ত অভিযোগ করলেই যাতে মুহূর্তের মধ্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাও নিশ্চিত করছে রেল। গোটা ব্যবস্থার উপর নজর রাখার জন্য প্রতি ট্রেনে একজন অন-বোর্ড আইআরসিটিসি সুপারভাইজার নিয়োগের সিদ্ধান্তও ইতিমধ্যেই নিয়েছে রেল।