মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
রান্নার গ্যাস বা এলপিজি ব্যবহার বাড়াতে চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষও যাতে কাঠ বা কয়লার পরিবর্তে গ্যাসে রান্না করে, তার জন্য আনা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা। সেই প্রকল্পে ভালো সাড়া মিলেছে পশ্চিমবঙ্গে। দেশের মধ্যে উজ্জ্বলা যোজনায় এখনও পর্যন্ত দ্বিতীয় স্থানে আছে পশ্চিমবঙ্গ। গত সপ্তাহ পর্যন্ত ওই যোজনায় এরাজ্যে সিলিন্ডার সংযোগ নিয়েছেন ৮৮ লক্ষ ৭৬ হাজার ৫৩ জন। প্রথম স্থানে আছে উত্তরপ্রদেশ। সেখানে উজ্জ্বলা গ্রাহক সংখ্যা ১ কোটি ৪৭ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭৪৫ জন। কিন্তু এই সাফল্যকে ম্লান করে দিচ্ছে সিলিন্ডার বিক্রি। উজ্জ্বলা যোজনায় বিনা পয়সায় গ্যাসের সংযোগ নেওয়ার পর সিলিন্ডার কিনতে গ্রাহকদের অনীহা চোখে পড়ার মতো। তাই বিক্রি বাড়ানোর দাওয়াই খুঁজছিল পেট্রলিয়াম মন্ত্রক। তারা এর পরেই ডিজিটাল পেমেন্টর উপর জোর দিতে শুরু করে এবং সেখানে কিছু আর্থিক ছাড়ের সুযোগ করে দেওয়ার বিষয়টিকে বিবেচনা করতে বলে। এবার সেই পথেই এগচ্ছে এলপিজি সংস্থাগুলি।
কী সুযোগ দেবে গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটররা? জানা গিয়েছে, গ্রাহকদের জন্য একটি লটারির আয়োজন করা হবে, যেখানে থাকবে হরেক পুরস্কার। সেই তালিকায় প্রেসার কুকার, ফ্রাইং প্যান বা কফি মগের মতো পুরস্কার থাকবে। বড় অঙ্কের ক্যাশ ব্যাক অফারও চালু করবে তারা। তবে গ্রাহককে বিভিন্ন ইউপিআই গেটওয়ে থেকে পেমেন্ট করতে হবে। তা করা যাবে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডেও। গ্রামের বহু মানুষ এখন যেভাবে মোবাইলের মাধ্যমে কিউ আর কোড স্ক্যান করে পেমেন্ট করতে অভ্যস্ত, তাতে এই প্রকল্প জনপ্রিয় হবে বলেই আশা করছেন তেল সংস্থার কর্তারা। এরাজ্যে ইন্ডিয়ান অয়েলের এলপিজি বিভাগের চিফ জেনারেল ম্যানেজার অভিজিৎ দে বলেন, আমরা ডিজিটাল পেমেন্টকে উৎসাহ দিতে লটারির আয়োজন করব। তা হবে ডিস্ট্রিবিউটর স্তরে। আপাতত অল্প সময়ের জন্য ওই প্রকল্প চালু হবে। আশা করি সাধারণ গ্রাহক এতে উৎসাহিত হবেন।
এদিকে তেল সংস্থাগুলি সূত্রে খবর, নতুন করে এলপিজি সংযোগ নেওয়া বা সিঙ্গল সিলিন্ডার থেকে ডাবল সিলিন্ডার নেওয়ার ক্ষেত্রেও আরও বড় আকারে লটারির আয়োজন হতে পারে। সেক্ষেত্রে বাইক জেতার সুযোগ পাবেন গ্রাহক। থাকবে আরও পুরস্কার। ডিজিটাল পেমেন্ট করা সব ক্রেতাকেই একটি ন্যূনতম ক্যাশ ব্যক দেওয়ার কথাও বিবেচনা করছে তেল সংস্থাগুলি। তা নিয়ে কথা চলছে বিভিন্ন ডিজিটাল পেমেন্ট সংস্থার সঙ্গে, এমনটাই জানা গিয়েছে।
তবে এই সিদ্ধান্ত কতটা সফল হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ডিস্ট্রিবিউটদের একাংশ। তাঁদের কথায়, যাঁরা সিলিন্ডার ডেলিভারি করেন, তাঁদের একাংশ বকশিস পেতে অভ্যস্ত। ডিজিটাল পেমেন্টে যদি তাঁরা উৎসাহ না দেখান, তাহলে প্রকল্প সফল হওয়া মুশকিল।