মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
নবান্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, চর্মননগরীর মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির যত পরিমাণ জমি রয়েছে, সেই জমির বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী সিলিকন ভ্যালিতে তাদের জমি দেওয়া হবে। অর্থাৎ কোনও সংস্থার বানতলায় যদি এক বিঘা জমির দাম ৫০ লক্ষ টাকা হয়, তা হলে ওই টাকায় সিলিকন ভ্যালিতে যে পরিমাণ জমি হবে, সেটাই দেওয়া হবে তাদের। সেক্ষেত্রে বানতলার তুলনায় কম পরিমাণ জমি হতে পারে নিউটাউনে। যদি ওই সংস্থার অতিরিক্ত জমি লাগে, সেক্ষেত্রে সিলিকন ভ্যালিতে আরও জমি কিনে নিতে হবে তাদের। খুব শীঘ্রই এই জমি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বানতলাকে শিল্পের ক্ষেত্রে ‘শো-কেস’ হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন। সেখানে পাঁচ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। ১১৫০ একর জমি নিয়ে ওই চর্মনগরী গড়ে উঠেছে। বর্তমানে সেখানে ৩০০টি লেদার ইউনিট আছে। আরও ২০০ ইউনিট আসবে। তার জন্য আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাস্তা, আলো, পানীয় জল, জঞ্জাল অপসারণ, কমন অ্যাফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (সিইটিপি) গড়ে তুলতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেএমডিএ’কে। দুটি পর্যায়ে আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ হচ্ছে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এর জন্য অর্থ দপ্তর প্রথম পর্যায়ে ৩৬২ কোটি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৭৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করে। তা দিয়ে পরিবেশ বান্ধব পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ হচ্ছে। ইতিমধ্যে সেখানে বিভিন্ন লেদার সংস্থা বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশের চর্মশিল্পের নামী সংস্থাগুলি বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কয়েকটি সংস্থা ইতিমধ্যেই বিনিয়োগ করেছে। কলকাতার মধ্যে থাকা সব ট্যানারিকে ওই চর্মনগরীতে নিয়ে যাওয়া হবে। ইতিমধ্যে অনেকে গিয়েছে। যারা এখনও যায়নি, সেখানে পরিকাঠামো গড়ে তোলার পর তারাও চলে যাবে। আদালতের নির্দেশে শহরে কোনও ট্যানারি রাখা যাবে না। তবে চর্মনগরী থেকে যাতে দূষণ না হয়, তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কলকাতার লাগোয়া এই চর্মনগরী কর্মসংস্থানের নতুন দরজা খুলে দেবে বলে মনে করছে অভিজ্ঞমহল।