কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
শনিবার প্রায় তিন ঘণ্টার বাজেটে অর্থমন্ত্রীর কথায় বার বার উঠে এসেছে অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রসঙ্গ। এই শিল্পক্ষেত্রকে চাঙ্গা করতে কেন্দ্রের বিশেষ পদক্ষেপের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন সীতারামন। তিনি জানিয়েছেন, অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ছোট অঙ্কের ঋণ যাতে দেওয়া হয়, তার জন্য নতুন প্রকল্প চালু করা হবে। এর পাশপাশি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলির উপর থেকে ঋণের বোঝা লাঘব করার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কে চালু থাকা প্রকল্পের সময়সীমা ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি করার জন্য আবেদন জানাবে কেন্দ্র। খুব শীঘ্রই কেন্দ্রের তরফে ন্যাশনাল লজিস্টিক্স পলিসিও ঘোষণা করা হবে বলে এদিন বাজেট ভাষণে জানিয়েছেন সীতারামন।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলির কাছে মূলধন একটি বড় সমস্যা। ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি (এনবিএফসি) যাতে অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলিকে আর্থিক সহায়তা দিতে পারে, তার জন্য ‘ফ্যাক্টরি রেগুলেশন অ্যাক্ট ২০১১’-তে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হবে। অর্থমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে এমএসএমই এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ডি এস রাওয়াত বলেন, ‘এনবিএফসির মাধ্যমে আর্থিক সহায়তার সিদ্ধান্ত অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের পক্ষে বিশেষভাবে সহায়ক হবে। তবে এই সহায়তা শুধুমাত্র বিধিবদ্ধ সংস্থাগুলির ক্ষেত্রেই নয়, বিধিবদ্ধ নয় এমন সংস্থার ক্ষেত্রেও কার্যকর করা উচিত।’ দেশের একটি বাণিজ্যিক প্ল্যাটফর্মের সিইও পবন গুপ্তা জানিয়েছেন, সঠিক সময়ে মূলধনের জোগানের অভাব অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলির কাছে একটি বড় বাধা। এনবিএফসির মাধ্যমে আর্থিক সহায়তার সিদ্ধান্তের ফলে এই ক্ষেত্রগুলি আরও চাঙ্গা হবে।