পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন আবাসন নিয়ে কী বলেছেন অর্থমন্ত্রী? গৃহঋণে সুদের উপর দু’লক্ষ টাকা বছরে আয়করে ছাড় পাওয়া যায়। গত বছর বাজেটে অতিরিক্ত দেড় লক্ষ টাকার উপর করছাড় ঘোষিত হয়। ওই সুযোগ এক বছরের জন্য দেওয়া হয়েছিল। এদিন নির্মলাদেবী বলেন, ওই সুবিধা ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত মিলবে। ৪৫ লক্ষ টাকার মধ্যে যদি কেউ প্রথমবার বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনেন, তাহলে ওই সুবিধা মিলবে। পাশাপাশি সাধ্যের মধ্যে থাকা ফ্ল্যাট বিক্রি করার ক্ষেত্রে আবাসন নির্মাতাদের যে লাভ হবে, তাতে কর ছাড় বা ট্যাক্স হলিডে ঘোষিত হয়েছিল আগেই। তার সময়সীমা ছিল চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত। তাও আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত বাড়ালেন নির্মলাদেবী।
আবাসন নির্মাতা সংস্থাগুলির সর্বভারতীয় সংগঠন ক্রেডাই বেঙ্গলের প্রেসিডেন্ট নন্দু বেলানি বলেন, বাজেট নিয়ে আমাদের বা ক্রেতাদের উচ্ছ্বসিত হওয়ার মতো বড় কোনও ঘোষণা নেই। ডিভিডেন্ড ডিস্ট্রিবিউশন ট্যাক্স বা ডিডিটি’তে এবং ট্যাক্স হলিডে’তে আমরা সুবিধা পাব। একইভাবে ক্রেতারা সুদের উপর এক বছর ধরে যে অতিরিক্ত সুবিধা পাবেন, তাও একটা ভালো দিক। কিন্তু ক্রেতাদের জন্য নতুন কোনও ঘোষণা হল না, যাতে তাঁরা বাড়ি কিনতে উৎসাহ পান।
গ্রাম বা আধা শহরগুলি থেকে বড় শহরগুলিতে কাজের সূত্রে আসছেন বহু মানুষ। শহরে এসেই তাঁদের পক্ষে বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনা সম্ভব হয় না। তাই তাঁরা ভাড়া বাড়ি খোঁজেন। বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সেই দিকটিকে অন্ধকারে রেখেছেন বলেই মনে করছে ক্রেডাই। মার্লিন গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং ক্রেডাই ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রেসিডেন্ট সুশীল মোহতা বলেন, গ্রাম থেকে প্রতি বছর দু’শতাংশ মানুষ শহরে আসছেন। তাঁদের মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের দরকার। অথচ ভাড়া বাড়ি নিয়ে সরকার খুব একটা পদক্ষেপ করে না। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বাড়ি ভাড়া দিলে, তা করযোগ্য। আমাদের দাবি ছিল বছরে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভাড়ার আয় করমুক্ত হোক। সরকার তা করেনি।
ইমামি রিয়েলটি লিমিটেডের সিইও নীতেশ কুমারের কথায়, আবাসন শিল্পের তরফে আমাদের অনেক আশা ছিল। লালফিতের ফাঁস আলগা করতে সিঙ্গল উইন্ডো ক্লিয়ারেন্স, শিল্পের জন্য পরিকাঠামো সংক্রান্ত কৌশল ঠিক করা, ভাড়ার জন্য তৈরি বাড়ি বা রেন্টাল হাউসিং, বিক্রি না হওয়া ফ্ল্যাটগুলির জন্য কোনও নীতি আসতে পারে, এই আশায় মুখিয়ে ছিল গোটা আবাসন শিল্পমহল। কিন্তু তার কিছুই হল না। তবে সাধ্যের মধ্যে থাকা আবাসন বা অ্যাফর্ডেবল হাউসিংয়ের ক্ষেত্রে আরও এক বছর যে করে ছাড় দেওয়া হয়েছে, তা অবশ্যই ভালো দিক। তবে গৃহঋণে সুদের হার কমানোরও কোনও দিশা নেই। সব মিলিয়ে বড় কিছু প্রাপ্তিযোগ হয়নি আবাসন শিল্পে।
তবে সাধারণ করদাতাদের জন্য যে নতুন আয়কর কাঠামো এবং করের হার প্রস্তাব করা হয়েছে, তাতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে শিল্পমহলে। কারও বক্তব্য, একটু বেশি আয় করেন যাঁরা, তাঁদের যেটুকু কম আয়কর দিতে হবে, তার সুবিধা এসে পড়তে পারে আবাসনের বিক্রিবাটায়। আবার অনেকে আবাসন নির্মাতাই বলছেন, গৃহঋণ নিলে আয়করে যে ছাড় পাওয়া যেত, আয়করের নতুন নিয়মে তা ফিকে হয়ে গিয়েছে। ফলে ক্রেতারা কিছুটা উৎসাহ হারাতে পারেন।