ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
‘হোয়াই উই আর সেইং নো এনআরসি নো সিএএ নো এনপিআর’ নামে ১০০ টাকার চটি বইটি যে ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে, তার প্রমাণও মিলল। একদিকের টেবিলে একটিমাত্র বই রয়েছে বলে হতাশ হলেন দমদম থেকে থেকে আসা তন্ময় রায়। তিনি বলেন, চারটে লাগত। আমি একটা রাখব। বাকিটা একজন আনতে দিয়েছেন। পিছনের টেবিলে বইগুলি পেয়ে স্বস্তি পেলেন তিনি। কর্মীরা নিজেদের মধ্যেই বলাবলি করছিলেন, গোডাউনে বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। কিন্তু বই আসছে না। এবার ম্যাডাম (স্টলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংসদ দোলা সেন)-কে বলতে হবে। তাতে সহমত পোষণ করলেন আরও এক কর্মী। উর্দু কবিতার বই ‘হিম্মত’-এরও ভালো কাটতি আছে, জানালেন স্টলের কর্মীরা। ‘জাগো বাংলা’র স্টলেও বড় বড় করে লেখা রয়েছে নো এনআরসি, নো সিএএ স্লোগান। লিটল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়নেও গৌতম রায়ের লেখা সিএএ বিষয়ক বইয়ের ভালো পাঠক আছে। এসএফআই বা অন্যান্য বাম ছাত্র যুব সংগঠনগুলিও তাদের নিজস্ব প্রকাশনার স্টলগুলি নো এনআরসি-নো সিএএ স্লোগানে রাঙিয়ে রেখেছে। বিভিন্ন প্রকাশনার অন্তত ২০টি এনআরসি বা সিএএ বিষয়ক বই (যার মধ্যে অসমের প্রকাশনা সংস্থার বইও রয়েছে) ভালোই বিক্রি হচ্ছে।
বিজ্ঞানের সপক্ষে অখিল ভারত কণ্ঠস্বর-এর তরফে বিকেলের দিকে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। গিল্ড অফিসের সামনেই জনা পনেরো সদস্য জড়ো হয়েছিলেন। তাঁরা বিজেপির বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীর ‘অবৈজ্ঞানিক’ মন্তব্য এবং তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা লিখে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সত্যপাল সিং ডারউইনের তত্ত্বকে ভ্রান্ত বলেছিলেন। সেটা খারিজ করে এর আসল ব্যাখ্যাও লেখা ছিল। শিক্ষাকে কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস এবং গৈরিক প্রভাব থেকে মুক্ত করার ডাক দিয়ে ৫-৭ এপ্রিল তারা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিগুণা সেন অডিটোরিয়ামে একটি সর্বভারতীয় বিজ্ঞান সম্মেলনের আয়োজনও করছে। অরুণাচলপ্রদেশ সরকারের তরফে সাহিত্যিক স্বপ্নময় চক্রবর্তীর বেশ কিছু বই প্রকাশ করা হয়। দে’জ পাবলিশিং থেকে সমৃদ্ধ দত্তর ‘ব্ল্যাক করিডর ২’, ‘উই দ্য পিপল’, মৃণালকান্তি দাসের ‘ডেটলাইন আমেরিকা’ (করুণা প্রকাশনী), ‘নাদিয়ার আতঙ্ক’ (উদয়ারুণ)-এর মতো নন-ফিকশন বইয়ের চাহিদাও যথেষ্ট ভালো।